সরকারি চাকুরিতে সব ধরনের কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুরান ঢাকার তাঁতি বাজার সড়ক অবরোধ করে কোটা বাতিলের চার দফা দাবি জানান।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠাঁলতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি প্রধান ফটক, ভিক্টোরিয়া পার্ক, রায়সাহেব বাজার ঘুরে তাতিঁবাজার এসে সড়ক অবরোধ করে।
এ সময় সদরঘাট, বাংলাবাজার, লক্ষীবাজার, তাঁতিবাজার, ধোলাইখাল, যাত্রাবাড়ি, নবাবপুর, বংশাল, গুলিস্তান সহ সব ধরনের রুটে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের চার দফা দাবি মানা না হলে পুরো পুরান ঢাকাকে অচল করে দেব আমরা। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এসে আমাদের কোনো কোটা আন্দোলন করতে হবে। এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তাহলে কেন আমাদের আবার কোটার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। একটা দেশের সরকারি চাকুরিতে যদি ৫৬ শতাংশ কোটা থাকে, তাহলে মেধাবীরা মাত্র ৪৪ শতাংশের জন্য লড়াই করবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’ ‘১৮ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’ ‘কোটাধারী নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুর রহমান বলেন, আমরা কোটা সংস্কার আন্দোলনে রাজপথে নেমেছি। কোটা বাতিল হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলায় এমন বৈষম্য মেনে নেওয়ার মতো না।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদ হাসান বলেন, কোটা প্রথার কারণে আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীরা যোগ্য মূল্যায়ন পাচ্ছে না। দেশের প্রশাসনে মেধাবী শিক্ষার্থীরা সুযোগ না পাওয়াই দুর্নীতিতে ভরে গেছে দেশটা। অবিলম্বে কোটা প্রথা বাতিল করা হোক।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ