পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) কর্মকর্তাদের ১৫ দফা ও কর্মচারিদের ১৪ দফা দাবি আদায়ে প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরে তালা ঝুলিয়েছেন কর্মকর্তা পরিষদ ও কর্মচারি পরিষদের সদস্যরা।
সোমবার (১ জুলাই) সকাল ৯টার এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের দপ্তর ছাড়া অন্যসব দপ্তরে তালা দেন তারা।
এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে দাবি আদায়ের জন্য তারা মিছিল বের করেন। এ সময় তারা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
কর্মকর্তা পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ২১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ৪% গৃহ ঋণ বাস্তবায়ন, কর্মকর্তাদের পদন্নোতি নীতিমালা সংশোধন, কর্মকর্তাদের নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ১৫ দফা দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি দেন তারা। ঐ স্মারক লিপিতে ২৮ মে’র মধ্যে তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য সময় দেওয়া হয়। কিন্তু ২৮ তারিখের মধ্যে প্রশাসন দাবিগুলো পূরণ না করলে ৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়ে একটি চিঠি দেন। এরপর ৯ জুন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। ঈদের ছুটির আগে টানা ৬ দিন এবং ঈদের ছুটির পর ৩ দিন মিলিয়ে মোট ৯ দিন কর্মবিরতি পালন করছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানান তারা।
অন্যদিকে কর্মচারি পরিষদের সদস্যরা জানান- গত ১২ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর কর্মচারীদের পদন্নোতি নীতিমালা সংশোধন, ৪% গৃহ ঋণ বাস্তবায়ন, এডহক হতে পেনশন গণনা, কর্মচারীদের ডরমেটরি এবং ক্লাবের ব্যবস্থা, মাস্টাররোল এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণ সহ ১৪ দফা দাবির একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে তারা ৩০ জুনের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন জানান।
তারা আরও জানান, ৩০ জুনের মধ্যে তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়াতে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে নেমেছেন।
কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফারুক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। আমাদের এই ১৪ দফা আমাদের অধিকার আদায়ের। আমাদের দাবি আদায় ছাড়া আমরা মাঠ ছাড়বোনা।’
কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা টানা ৯ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছি। এখন পর্যন্ত প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো পূরণ করেননি, আমাদের সাথে কথাও বলেননি। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি বন্ধ হবে না।’
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, ‘দাবি অনেকগুলো, আমরা আলোচনা করছি এবং সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ