সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) তিন শিক্ষার্থীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের অর্থ তুলে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুর ১২টার দিকে জেলা সার্কিট হাউসে নিহত শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও তৌফিক হোসেনের পরিবারকে ১০ লাখ করে মোট ২০ লাখ টাকা এবং আহত শিক্ষার্থী জাকারিয়া হিমুর পরিবারকে ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামালউদ্দীন আহমদ, ছাত্র কল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, চুয়েট জনসংযোগ বিভাগের ডেপুটি পরিচালক মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (রাউজান)।
ওই অর্থের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিহত শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ লাখ করে মোট ১০ লাখ টাকা, আহত শিক্ষার্থীর জন্য ১ লাখ টাকা, চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি থেকে নিহত শিক্ষার্থীদের দুই লাখ টাকা করে মোট ৪ লাখ ও আহত শিক্ষার্থীকে ১ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকা করে মোট ছয় লাখ টাকা দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ছাত্র কল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, 'নিহতদের পরিবারকে বিআরটিএ, মালিক সমিতি ও জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে সর্বোমোট দশ লাখ টাকা করে ও আহতের পরিবারকে দুই লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে যেন তাদের স্মৃতিস্বরুপ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো চত্বর বা ভবনের নাম শিক্ষার্থীদের নামে নামকরণ করা হয়।
পাশাপাশি, বিআরটিএ এর কাছে এই রাস্তাটির নামকরণ এই দুই শিক্ষার্থীর নামে করার অনুরোধ করেন তারা।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল, সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগরে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন চুয়েটের তিন শিক্ষার্থী। দ্রুতগতির শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসেন।
সহপাঠীদের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর ৩টি বাস আটকের পর আগুন লাগিয়ে সড়ক অবরোধ করে দশ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে প্রশাসনের আশ্বাসে সড়ক অবরোধ স্থগিতের ঘোষণা দেয়া হয়।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ