চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েটে) খাবারের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে তালা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর খাবার, অতিরিক্ত মূল্য এবং পরিচালনাকারীদের খারাপ আচরনের বিরুদ্ধেও রয়েছে অভিযোগ। গতকাল ১০ জুন (সোমবার) বিকাল চারটায় এ ঘটনা ঘটে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় বিগত দিনের খাবার তুলে রেখে পরদিন পরিবেশন করা হয়, যা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। তাছাড়া খাবারের মূল্য সাধারণের তুলনায় অনেক বেশি।
এ বিষয়ে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম তামিম বলেন, কর্তৃপক্ষ সবসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করে। আবার খাবার দাবার অস্বাস্থ্যকর, টেবিলগুলো অপরিচ্ছন্ন থাকে, খাবাররে মূল্যও অনেক বেশি। বার বার এ নিয়ে আলাপ হলেও যথাযথ কোনো সমাধান আসছে না।
তিনি আরও বলেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া কোন বিলাসবহুল হোটেল না, তাই অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দাম নির্ধারণ, পরিচ্ছন খাবার এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করার নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত টিএসসি চালু করবে না সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষার্থীরা জানান, প্রশাসনের সঙ্গে তাদের কোনো আলাপ হয় নি। অন্যদিকে চুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আলোচনার জন্যে এসেও কাউকে ঘটনাস্থলে না পাওয়ায় আমি ফিরে এসেছি।
এছাড়াও শিক্ষার্থীরা জানান, পূর্বে আন্দোলনের সময় কর্তৃপক্ষ ক্যাফেটেরিয়ার টেবিলগুলোতে পানির জগ দেওয়ার কথা থাকলেও আদতে প্লাস্টিকের বোতলই দেওয়া হয়। টেবিলগুলোও বেশিরভাগ সময়ই থাকে অপরিষ্কার।
এছাড়া টিএসসির বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিয়েও রয়েছে অসন্তোষজনক। যত্রতত্র ময়লা ফেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ বিনষ্ট করার অভিযোগ জানান তারা।
শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে চুয়েটের এক শিক্ষার্থী ‘ফ্রাইড রাইস’ এর দাম এতো বেশি কেন জানতে চাওয়ায় ক্যাফেটেরিয়ার ব্যাবস্থাপক উনাকে ‘ফ্রাইড রাইস’ না খেয়ে ভাত খাওয়ার উপদেশ দেন। এর সূত্রধরেই শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের শুরু হয়।
এমতাবস্থায় টিএসসি ফের কবে চালু হবে বা উদ্ভুত সমস্যাগুলোর কোনো সমাধান হবে কিনা সেই বিষয়ে সন্দিহান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ