বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) প্রশাসনিক ভবনের মূল গেটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। এতে ভবনের ভেতরে আটকে পড়েন উপাচার্য, প্রক্টরসহ অনেকেই। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে ভবনের তালা খুলে দেন তারা।
জানা গেছে, সেশনজট, ক্রেডিট ফি কমানো, সব আবাসিক হলে ডাইনিং চালু করাসহ বিভিন্ন দাবিতে তালা ঝোলানো হয়। পরে সেখানে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীও উপস্থিত হয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। এর আগে শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনে ঢুকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভবনের বাইরে বেরিয়ে যেতে অনুরোধ করলে তারা নিজ নিজ ডেস্ক ছেড়ে ভবন থেকে বাইরে চলেন আসেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে তাদের যৌক্তিক দাবি জানিয়ে আসছেন। তবে আজকে তাদের আন্দোলনের বিষয়ে অবগত ছিলাম না। বিষয়টি পরে জেনেছি। আশানুরূপ ফলাফল না পেয়ে তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছে৷ পরে জানতে পেরে এবিষয়ে আমি এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এম মাসুদ রানা মিঠু গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং প্রশাসনের সাথে কথা বলি। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর আস্থা রেখে এবং প্রশাসনের আশ্বাসে প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এম মাসুদ রানা মিঠু বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানতে পারি, দীর্ঘদিনের কিছু দাবি নিয়ে প্রশাসন বরাবর বেশ কয়েকবার স্মারকলিপি জমা দেওয়া হলেও প্রশাসন থেকে আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় তারা এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলো।
তিনি আরও বলেন, পরে আমি আমার প্রেসিডেন্টসহ ভাইস চ্যান্সেলর স্যার, প্রক্টর স্যার এবং স্টুডেন্ট এডভাইজার স্যারের সাথে কথা বলে তাদের দাবির বিষয়গুলো তুলে ধরি। ভিসি স্যার সেই দাবি-দাওয়াগুলো আমলে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে আমরা হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে আন্দোলন স্থগিত করার আহ্বান করলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মামুনুর রশীদ বলেন, হঠাৎ কেন শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন করছে, আমরা জানতাম না। পরে তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তাদের কিছু দাবিদাওয়া ছিল, সেসব বিষয়ে কথা হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ