ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার সরকারের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন, হত্যার হুমকিসহ নানা অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী।
অভিযুক্ত সঞ্জয় পাবনার আতাইকুলা উপজেলার চোরাডাঙ্গা গ্রামের সুশান্ত সরকারের ছেলে। ভুক্তভোগী জয়া সাহা নাটোর সদরের উপড়বাজারের রতন কুমর সাহার মেয়ে। তিনি ইবির ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের ছাত্রী।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্নারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। এসময় তার অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, আমার কাছে এখন সঞ্জয় যেনো স্বামী নয়, মূর্তিমান একটা আতঙ্কের নাম। আমি এখন সব সময় জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগী। একপর্যায়ে ভাবলাম পরিবারে সন্তান আসলে অনেক স্বামী শুধরে যায়। তাই ছাত্রী অবস্থায় সন্তান নেয়ার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু আমি সন্তান সম্ভবা হওয়ার পরও তার নির্যাতন থেমে থাকেনি।
তিনি আরও বলেন, সঞ্জয় এবং তার পরিবার চাইতো আমাকে যত বেশি নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করা হবে আমার বাবা মায়ের দিক থেকে ততই প্রাপ্তিযোগ বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়াও সে চাইতো বেশি বেশি নির্যাতন করলে আমাকে বাবার বাড়ি পাঠাতে বেগ পেতে হবে না। তার উদ্দেশ্য আমি বাড়ি গেলে সে মুক্ত, স্বাধীন, স্বেচ্ছাচারী জীবন অতিবাহিত করতে পারবে।
ভুক্তভোগী জয়া সাহা বলেন, ‘আমার ওপর নির্যাতন ও অশালীন আচরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার চাই। আট বছর, দীর্ঘ সময়, এই অত্যাচার আমাকে বিষণ্ণ করেছে। দীর্ঘ এক বছর আমি আমার ছেলে সুরজাকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ছিলাম। বর্তমানে আমি তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে লড়াই করছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার দাবি করছি।’
এ ছাড়াও ২০১৮ সালে সঞ্জয় তার বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে যৌন ও মানসিকভাবে হয়রানি করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই ছাত্রীর বাবা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে অভিযুক্ত শিক্ষককে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার জন্য কর্তৃপক্ষ শাস্তি দিয়েছিলেন।
সহযোগী অধ্যাপক ডা. সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, ‘এটা আমাদের পারিবারিক বিষয়, এই অভিযোগে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ