ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

স্মৃতির পাতায় থাকবে সেই দিনগুলো

প্রকাশনার সময়: ০৪ জুন ২০২৪, ১৮:৩০

সময়ের মতো মানুষের জীবনও গতিশীল। সেই জীবন নিজের গতিতে চলে। তবে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে রেখে যায় কিছু মধুর স্মৃতি। চাইলেও আবার ফেরা যায় না, পুনরায় আলিঙ্গন করা যায় না সুন্দর মুহূর্তগুলোকে। এইতো সেদিন, কিছুকাল আগেই, এক রাশ স্বপ্ন নিয়ে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) আগমন ঘটেছিলো ৪৯তম ব্যাচের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীদের। সময়ের বহরে চড়ে তারাই আজ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী বর্ষের শিক্ষার্থী। কিছুদিনের মধ্যে হয়ত ক্যাম্পাস ছেড়েও চলে যাবেন। সাথে করে নিয়ে যাবেন একগুচ্ছ স্মৃতি। জীবন ও জীবিকার তাগিদে ব্যস্ত হয়ে উঠবেন তারা।

তবে অবসরে বা মন খারাপের সময়ে মনে পড়বে সেই সময়ের কথা। হয়ত তখন ডুব দিবেন নিজের একপেশে স্মৃতিতে। মনে পড়বে, কোনো একদিন ঝড়ো হাওয়ায় হলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে সুখানুভূতি নিয়েছিলেন নির্মল প্রকৃতির। কোনো একদিন রাত্রিবেলা চুপচুপি গিয়েছিলেন ক্যাম্পাসের আম, কাঁঠালের খোঁজে। সারা মাস অপেক্ষা করতেন, কবে ডাইনিংয়ে ফিস্ট হবে। জোস্না রাতে হলের ছাদে বসে গান গাইতেন বন্ধুদের সাথে। আকাশের দিকে তাকিয়ে তারা দেখতেন। মাঝেমধ্যে নিঃসঙ্গ মন খারাপের সময়ে একা সেন্ট্রাল ফিল্ডের পাশে হাঁটতেন।

আর পড়াশোনা! হাফ ছেড়ে বাঁচা এই পড়াশোনার স্মৃতিও হয়ত মনে খানিকটা উঁকি দিবে। সিটির আগের রাতে বন্ধুর কাছে পড়া বুঝতে চাওয়া, টার্ম ফাইনালের আগের রাতে গা হিম করা টেনশন মনে আসা আবার খানিকটা ভয়ও পাইয়ে দিতে পারে। মানুষের মন এমনই। পিছুটানের আকর্ষণে মাতাল হতে চায়। মন হয়ত থাকবে পৃথিবীর অন্য কোনো প্রান্তে। অথচ মনের গহীনে হঠাৎ ঠিকই উঁকি দিবে এই সবুজ স্বর্গের কথা।

১৮ ব্যাচের এই শিক্ষার্থীরা সবে ছাত্র জীবন পার করে জাতীয় জীবনে প্রবেশ করবেন। জীবনের বাঁক তাদের কোন গন্তব্যে পৌঁছে দেবে নিজেরাও জানেন না। রোজ সকালে উঠে ডিপার্টমেন্টের দিকে দৌড় দেয়া। রাত জেগে ল্যাব রিপোর্ট লেখা কিংবা ভোররাত পর্যন্ত সিটির পড়া শেষ করা থেকে হয়ত খানিকটা মুক্তি মিলেছে। তবে সবুজ স্বর্গখ্যাত এই ক্যাম্পাসটিকে তারা আপন করে নিয়েছিলেন। তাই মায়া কাটছে না। মায়া কাটার কথাও না।

ক্যাম্পাসে সবে শেষ হলো বিদায়ী বর্ষের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সমাপনী উৎসব। এ উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছিল বিভিন্ন অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ সময়টাকে রাঙিয়ে নিতে ব্যবস্থা করা হয়েছিল নানা কর্মকাণ্ডের।

বিদায়ী বর্ষের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী ফরাজি বলেন, বিদায় ব্যাপারটা কষ্টের। কিন্তু জীবন থেমে থাকার নয়, ১৮-ব্যাচের বিদায় বেলাকে স্মরণীয় করে রাখতেই এই আয়োজন। এভাবেই, কেটে যাবে সময়। নতুন কোনো ব্যাচ আসবে, পুরোনোরা বিদায় জানাবে এই সবুজ স্বর্গকে। সময় চলবে তার আপন গতিতে। আর সঙ্গে করে নিয়ে যাবে একরাশ স্মৃতি!

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ