হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত এবং জি আর এস সফটওয়্যার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিআইপি কনফারেন্স রুমে সকাল সাড়ে ১০টায় কর্মশালাটি শুরু হয়।
হল সুপার,সহকারী হল সুপার, সহকারী প্রক্টর, সহকারী পরিচালক (ছাপনিবি) বৃন্দের অংশগ্রহণে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত এবং জি আর এস সফটওয়্যার বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান।
রিসোর্স পার্সন হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন ইউজিসি ও ফোকাল পয়েন্ট, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনার উপ-পরিচালক মৌলি আজাদ।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন হাবিপ্রবির পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদ ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. ফাহিমা খানম।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক ও মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ মো. সহিদ উজ জামান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক ও হাবিপ্রবির অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা প্রফেসর ড.মো. মাহাবুব হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হাবিপ্রবি প্রক্টর প্রফেসর ড.মো. মামুনুর রশিদ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, হলসুপার, সহকারী হলসুপার, সহকারী প্রক্টর,ছাত্র পরামর্শ নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালকরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্য হাবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড.এম কামরুজ্জামান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ ২৪ বছর লড়াই, সংগ্রাম, জেল, জুলুম, ও নির্যাতন সহ্য করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে ৪৬৮২ দিন তিনি জেলখানায় কাটিয়েছেন। শুধুমাত্র একটি লক্ষ্য ছিল, সেটি হলো পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা এবং অনেক ত্যাগের বিনিময়ে সে লক্ষ্য তিনি অর্জন করেছেন। এই স্বাধীনতা অর্জন করেই তিনি ক্ষ্যান্ত হননি। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরেই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে ও মর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে আত্মনিয়োগ করেন। এই সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের যোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পরই তিনি আমাদেরকে শুদ্ধাচারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। তখন থেকেই প্রশাসনের সর্বস্তরে শুদ্ধাচারের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই ধারাবাহিকতা থেকে আমরাও শুদ্ধাচারের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমরাও চাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসন নিশ্চিত হবে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণমূলক একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ করা কোন নেতিবাচক বিষয় নয়, এটি আমাদের অধিকার। আমাদের এখানে সিটিজেন চার্টার রয়েছে, এখানে নাগরিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও অভ্যন্তরীণ সেবা নামে তিন ধরণের সেবার উল্লেখ রয়েছে। এই তিনটি সেবা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কমিটমেন্ট। এই কমিটমেন্ট রক্ষা করতে ব্যর্থ হলে অবশ্যই অভিযোগ আসতে পারে। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সকলের, তাই আমাদের সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে এটিকে এগিয়ে নিতে হবে।
পরিশেষে তিনি এ ধরণের কর্মশালা আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ