সার্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আওয়াতামুক্ত রাখার দাবিতে পৃথকভাবে আন্দোলনে নেমেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষক সমিতি ও স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন।
রোববার (১৯ মে) দুপুর ১২টায় চুয়েটের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে প্রায় ৫ শতাধিক কর্মচারীর অংশগ্রহণে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন ঘোষিত কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধন করেন চুয়েট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন। এ ছাড়াও পদোন্নতি সুবিধা বৃদ্ধি এবং আগামী বাজেটে নবম পে স্কেল চালুরও দাবি জানান।
ওই মানবন্ধনে চুয়েট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামাল উদ্দীন বলেন, আমরা অতি শীঘ্রই এই বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম থেকে মুক্তি চাই। দাবি না মানা হলে প্রয়োজনে আমরা চুয়েটের বাস, হলের ডাইনিং, বিদ্যুৎ, পানি সব বন্ধ করে দেব কিন্তু এই বৈষম্য আমরা মেনে নিব না।
এদিকে, দুপুর সাড়ে ১২টায় একই স্থানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ঘোষিত কর্মসূচির সাথে একাত্মতা পোষণ করে চুয়েট শিক্ষক সমিতি মৌন মিছিল ও মানববন্ধন করেন। এতেও চুয়েটের শতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
এসময় চুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ হারাবে। চুয়েটে শিক্ষকরা পদোন্নতি পায় নতুন একটি নিয়োগের মাধ্যমে। ফলে দেখা যাবে পদোন্নতি পাওয়ার পর বর্তমান শিক্ষকরাও সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় পড়বেন। তাই, অনতিবিলম্বে এ বৈষম্যমূলক স্কিমের আওতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মুক্ত রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ ২০২৪ অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বর্তমান পেনশন ব্যবস্থা থেকে বের করে সর্বজনীন পেনশন স্কিম এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে আগামী ১ জুলাই এবং তৎপরবর্তীতে নিয়োগপ্রাপ্ত সকলেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ