রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সোমবার (১৩ মে) ফের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এসময় তারা রড, স্টাম্প, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র হাতে মাদার বখ্ধসঢ়;শ হলের সামনে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও জনসংযোগ প্রশাসকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের সামনে দিয়ে সোহরাওয়ার্দী হলে প্রবেশ করলেও তাদের হাতে কোনো অস্ত্র দেখেননি বলে মন্তব্য করেছেন প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক।
সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টা থেকে পৌঁনে ৫টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী হলে তল্লাসি চালানোর পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর এ কথা বলেন। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ ও জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পাণ্ডে।
অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘আপনার চোখে হয়তো পড়েছে। কিন্তু আমি যখন ঢুকলাম তখন আমার চোখে সেটি পড়েনি। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি, যেন আমার ছাত্রদের কোনো ক্ষতি না হয়। আমরা তাদেরকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।’
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে অস্ত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তারা রামদা হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেটা হয়তো আপনি দেখছেন, আরেকজন দেখছেন। কিন্তু আমি যখন গিয়েছি তখন হয়তো তারা লুকিয়ে ফেলেছে। তবে আমরা এসব বিষয়ে অবগত আছি। আর যাদের মাধ্যমে
পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বের বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ মোবারককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে ঘটনার শুরুর দিন মতিহার থানার উপ-পুলিশ কমিশনার মধুসূদন রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্পর্শকাতর একটি জায়গা। এখানে পুলিশ চাইলেই হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’
প্রত্যক্ষদর্শী, ছাত্রলীগ সূত্র এবং সরেজমিনে দেখা যায়, নিয়াজ মোর্শেদ এবং তার সহযোগীরা হলে অবস্থান করছেন এমন খবর পেয়ে গতকাল সোমবার রাত দেড়টার পর থেকেই মাদার বখ্ধসঢ়;স হলের সামনে জড়ো হতে থাকেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারী বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা। এসময় প্রায় সকলের হাতেই রড, স্টাম্প ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দেখা যায়।
এদিন রাত ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সউদ, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পাণ্ডে, সোহরাওয়ার্দী হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এসময় ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদক সোহরাওয়ার্দী হলে বহিরাগত প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করেন। সেইসাথে একটি চক্র ক্যাম্পাসের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলেও জানান।
পরে রাত সোয়া ৩টার দিকে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে সোহরাওয়ার্দী হলে অভিযান চালায় বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাদার বখ্ধসঢ়;স হলের সামনে অবস্থান নেয়। পরে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে অভিযান শেষ হলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এসময় আশপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, ডিবি এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের দেখা গেছে। তবে নিয়াজ মোর্শেদ বা তার অনুসারী কাউকে হলে বা তার আশপাশে দেখা যায়নি।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ