ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাবিতে হলের নিরাপত্তাপ্রহরীকে মারধর করেছেন সভাপতি বাবুর অনুসারীরা

প্রকাশনার সময়: ১২ মে ২০২৪, ১৬:৫৮

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে হলের নিরাপত্তা প্রহরীকে মারধর করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারীরা।

রোববার (১২ মে) সকাল ৬টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হল গেইটে হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের নেতৃত্বে তাকে মারধর করা হয়।

আহত নিরাপত্তাকর্মীর নাম মনিরুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত অন্য নেতাকর্মীরা হলেন- মাদার বখ্শ হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সানি হাজারী, মতিহার হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী আজিজুল হক আকাশ প্রমুখ।

সিসিটিভি ফুটেজ ও হল সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৬টা ২০ মিনিটের দিকে হলে প্রবেশ করেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক। এসময় তিনি নিরাপত্তাকর্মী মনিরুল ইসলামকে ডেকে এনে হল গেটের ভেতর বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন। এসময় তার সঙ্গে যোগ দেন অভিযুক্ত অন্য নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে আকাশ তাকে চড়-থাপ্পর মারতে শুরু করেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আতিক কখন হলে আসে, কখন যায়, কখন কী করে এসব তথ্য আমি নিয়াজকে পাঠাই এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আতিকের নেতাকর্মীরা আমাকে মারধর করেছে। এরপর আমি বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে বাড়িতে অবস্থান করছি। আমি হল প্রাধ্যক্ষ স্যারের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছি।’

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত আতিকুর রহমান বলেন, ‘ওই নিরাপত্তাকর্মী আমাদের তথ্য শিবির ও ছাত্রদলের কাছে পাচার করতো। আমার ছোটভাইয়েরা তাকে হাতে নাতে আটক করে। তাকে হল প্রাধ্যক্ষের হাতে তুলে দিয়েছি।’

তবে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেলেও অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন অপর দুই অভিযুক্ত। অভিযুক্ত আকাশ ও সানি বলেন, ‘আমরা ওই সময় ঘুমাচ্ছিলাম। এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মারধরের ঘটনা জানেন না বলে জানান। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নিবেন কি না জিজ্ঞাসা করলে তিনি আর সাড়া দেননি।

এ বিষয়ে হল হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আতিকের নেতৃত্বে কয়েকজন আমাদের এক নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করেছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

উল্লেখ্য, শনিবার (১১ মে) দিবাগত রাত ১১টা থেকে রাত আড়াইটা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী হল এবং মাদার বখ্স হলের মধ্যবর্তী স্থানে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু এবং শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। পরে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারীদের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর হয়ে হামলা চালাতে দেখা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হলের নিরাপত্তাপ্রহরীকে মারধরের ঘটনায় জড়িত আতিকুর রহমান আতিকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা থেকেই গতকাল সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ