কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান এর নেতৃত্বে অছাত্র ও বহিরাগত কর্তৃক শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে উভয়ের পদত্যাগ দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে কুবি শিক্ষক সমিতি।
মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক যে উপাচার্যের চেয়ারে বসে তিনি সন্ত্রাসীদেরকে শিক্ষকদের উপর হামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেহেতু উপাচার্য নিজেই সন্ত্রাসী হিসেবে আবর্তিত হয়েছেন, তাই এখন তার বিচারের বিষয় আসে। হয় তিনি নিজেই পদত্যাগ করবে, না হয় সরকার তাকে অপসারণ করবে। কেননা, একজন সন্ত্রাসী উপাচার্য দিয়ে কখনো একটি বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, উপাচার্য সিন্ডিকেট সভায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে। উপাচার্য বলেছেন যে হলগুলোতে টাকা ও অস্ত্র ঢুকেছে। অথচ তিনি তা প্রমান করতে পারেননি। একজন উপাচার্য হয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে মিথ্যা তথ্য প্রচারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুন্ন করেছে। এটির বিচারও হওয়া উচিত।
যে সকল অছাত্র ও বহিরাগত সন্ত্রাসী শিক্ষকদের উপর হামলা করেছে তাদের রিরুদ্ধে শিক্ষকরা কি পদক্ষেপ চায় এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষক সমিতির সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন- যারা সার্টিফিকেট নিয়ে গেছে, তাদের সার্টিফিকেট বাতিল এবং যারা এখনো ছাত্র আছে, তাদের ছাত্রত্ব বাতিলের জন্য আবেদন করবো।
বিশ্ববিদ্যালয় কবে খুলবে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন- ক্লাসরুম ফিরে যাওয়ার বিষয়টা কেবল শিক্ষকদের উপর না, প্রশাসন কি ব্যবস্থা নিয়েছে; সেটাও দেখার বিষয়।
গত ২৮ এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন ও ট্রেজারার ড. মো. আসাদুজ্জামানের সাথে উপস্থিত ছিলেন- প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী, সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত, আবু ওবায়দা রাহিদ ও জাহিদ হাসান, স্বপন চন্দ্র মজুমদার, আসাদুজ্জামান শিকদার, জিল্লুর রহমান এবং আইকিউএসির পরিচালক ড. রশিদুল ইসলাম শেখসহ ২০-৩০ জন বহিরাগত শিক্ষার্থী।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ