আবহাওয়ার পরিবর্তন রোধ করা যাবে না তবে এটা কমিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, আমাদের কৃষকরা অনেক কষ্ট করে ফসল ফলায় তারা আশা করে যে নতুন ফসল ঘরে আসবে। কিন্তু আকস্মিক ঝড় বৃষ্টি ফসলগুলো নষ্ট করে দেয়। আবহাওয়ার কথা চিন্তা করে নিয়ন্ত্রিত চাষ পদ্ধতি বা গ্রিনহাউজ চাষের দিকে আমাদের যেতে হবে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ওই বিভাগের নতুন ভর্তিকৃত স্নাতোকত্তর শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাকৃবি উপাচার্য। অনুষ্ঠানে ১২ জন নবীন শিক্ষার্থীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, এশিয়া মহাদেশের বেশিরভাগ দেশেরই সামর্থ্য নেই শীততাপ নিয়ন্ত্রণ করে এই তাপপ্রবাহ মোকাবেলা করা। আমাদের লিমিটেড রিসোর্স ব্যবহার করেই এই তাপপ্রবাহ মোকাবেলা করে ক্লাস সম্পন্ন করতে হবে। ছাত্রদের ব্যাপক ক্ষতি হবে ভেবে আমরা অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছি না। এক্ষেত্রে এগ্রোমেটিওরোলজি শিক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এগ্রোমেটিওরোলজিতে ডাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ডিপার্টমেন্টের কাছে আশা থাকবে বিশ্বমানের গ্রাজুয়েট যেন তৈরি করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আ.খ.ম গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের পরিচালক ড. শাহ কামাল খান। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্পের (কম্পোনেন্ট-সি, বিডব্লিওসিএসআরপি) আওতায় বাকৃবির এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বাকৃবিতে এগ্রোমেটিওরোলজি বিভাগ চালুর জন্য অনুমোদন দেয়।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ