২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে হামলার হুমকি দিয়েছিল পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। হামলার মাধ্যমে বড় সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে জিম্মির উদ্দেশ্য ছিল তাদের। এমন হুমকির পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন গুচ্ছ ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কেএনএফ আমাদেরকে একটা চিঠি দিয়েছিল। চিঠিতে তারা আমাদের গুচ্ছের বড় বড় কেন্দ্রগুলোতে হামলা করবে। এ হামলার মাধ্যমে তারা বড় সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে নেবে। এ ধরনের একটি চিঠি পাওয়ার পর আমরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করেছি। তারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছে।
উপাচার্য বলেন, আজকে অনুষ্ঠিত গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিটি বাহিনী সর্বোচ্চ সজাগ ছিল। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। বিশেষ করে রাঙ্গামাটি অঞ্চলের কেন্দ্রে সেনাবাহিনী সশস্ত্র অবস্থানে ছিলেন। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখেও হয়তো আপনার এ বিষয়ে কিছুটা অনুমান করতে পেরেছেন।
গুচ্ছের প্রথমদিন ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে বেলা ১টায় শেষ হয়। কড়া নিরাপত্তায় ভর্তিচ্ছুদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়।
এদিন আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষা বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগামী ৩ মে শুক্রবার ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এবং ১০ মে শুক্রবার ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ