ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবিতে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন 

প্রকাশনার সময়: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১০ | আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২৩

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় যবিপ্রবির প্রধান ফটকের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালুর দাবি জানান শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

মানববন্ধনে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল, সহ-সভাপতি নাজমুস সাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম হৃদয়'সহ প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে যবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী আজকের এই মানববন্ধন। আজকের মানবন্ধন থেকে বলতে চাই, বুয়েট শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য ইমতিয়াজ রাহিম রাব্বিকে স্বসম্মানে আবাসিক হলে সিট ফিরিয়ে দিতে হবে, বুয়েট থেকে জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদের শিকড় উৎপাটন করতে হবে।

তিনি বলেন, বুয়েটে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের কমিটি থাকলেও কেনো প্রগতিশীল ও স্বাধীনতার পক্ষে রাজনৈতিক সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বুয়েট প্রশাসনের এত মাথাব্যথা? বুয়েট প্রশাসনকে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির কালোছায়া ছাত্রশিবির ও হিজবুত তাহরীরের শিকল থেকে বের হয়ে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে নিয়মতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল ছাত্ররাজনীতিকে অনুমোদন দিতে হবে।

মানববন্ধনে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল বলেন, গত পাঁচ বছর আগে বুয়েটে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে গেছে। সেখানে আবরার ফাহাদের মরদেহের ওপর একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী রাজনীতি শুরু করেছে। সেদিন বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করলেও তাদের পিছনে একটি চক্র কাজ করেছে। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ এখানে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষার্থীর গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনৈতি চর্চার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে । প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতির মাধ্যমেই নিজেদের মতামত প্রকাশ করে। বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরে নয়। আমার মনেহয় বুয়েটে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সাংবিধানিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করছে যে টা একটি গণতান্ত্রিক দেশে মোটেও কাম্য নয়। আমাদের দাবি বুয়েটের ছাত্ররাজনীতি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলবে। হাইকোর্ট এরমধ্যে বলেছে এখানে ছাত্ররাজনীতিতে বাধা নেই। আমরা এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ অনেক নেতাকর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বি। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর বুয়েটে এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নতুন করে রাজনীতি শুরুর পাঁয়তারা হিসেবে দেখছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ পাঁয়তারা রুখে দিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ