গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) এর পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তর উপ-পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক তুহিন মাহমুদকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিকে অসহযোগিতার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (২৭ মার্চ) উপাচার্যের অনুমতিক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৯/১২/২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত ৩৭ তম রিজেন্ট বোর্ড সভার ৩৭/২০ নং সিদ্ধান্তে সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. খন্দকার নাসির উদ্দিন এর সময়ে ক্রয়কৃত আসবাবপত্র, কম্পিউটারসহ ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতির বিল ভাউচার যথাযথ আছে কিনা তা পরীক্ষা এবং প্রস্তাবিত কাগজের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হলে তাকে উক্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য খুলনা শিপইয়ার্ডে গমন করতে বলা হয় এবং তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য তাকে উক্ত স্থানে উপস্থিত থাকার জন্য ট্রেজারার মহোদয় নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু তিনি সেখানে উপস্থিত না থাকার জন্য তাদেরকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের যথার্থতা নিরুপণের জন্য চরম অবহেলা ও অসহযোগিতা করেছেন জানিয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য ড. মো. ফরিদুল আলম দৃঢ়ভাবে অভিযোগ করেন।
উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুল আলমের অভিযোগ করেন তিনি ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয়ের অনুমোদন ব্যতিরেকে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নিমিত্তে টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিরেকে ক্রয় কার্যাদেশ সংক্রান্ত অফিস আদেশসহ বিভিন্ন প্রকার পত্র জারি করেছেন।
এই সকল কর্মকাণ্ড সরকারি কর্মচারী আইন পরিপন্থি বলে রিজেন্ট বোর্ডের সকল সদস্য একমত পোষণ করেন। এ প্রেক্ষিতে উত্থাপিত অভিযোগ পর্যালোচনা ও রিজেন্ট বোর্ডের ৩৮/০৮(ক) নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে ২৮/০৩/২০২৪ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে এবং একই সাথে সকল প্রকার দাপ্তরিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্যও বলা হয়েছে।
সেখানে আরও বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি নিয়ম মাফিক খোরপোশ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক তুহিন মাহমুদের সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রকল্প পরিচালক সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য ড. এ.কিউ.এম. মাহবুব বলেন, এই বিষয়ে এখন বলা যাবে না। এটা রিজেন্ট বোর্ডের আন্ডারে। এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।আমরা তদন্তে আছি, আমরা দেখবো বিষয়টা।’
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ