ঢাকা, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ৯ রজব ১৪৪৬

আবাসিক ফ্ল্যাটে ঝুলছিল পাবিপ্রবিছাত্রীর মরদেহ, বিস্মিত সহপাঠিরা

প্রকাশনার সময়: ২৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৪৬ | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫১

পাবনা শহরের মনসুরাবাদে একটি ফ্ল্যাট থেকে শারভীন সুলতানা মীম (২৬) নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার ৫ নম্বর রোডের গ ব্লকের একটি ফ্ল্যাট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

মৃত শারভীন সুলতানা মীম পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী ছিলেন। তিনি মেহেরপুরের সালদা থানার গাংনী উপজেলার বাসিন্দা আজিজুল ইসলামের মেয়ে।

ওই বাড়ির মালিক জানান, দুই মাস আগে ওই ছাত্রীর স্বামী ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। তারা সেখানে সব সময় থাকতেন না। রোববার রাতেও তার স্বামী বাসায় ছিলেন না, তিনি ঢাকায় ছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টায় তার স্বামী ঢাকা থেকে আসলে, তিনিও তার সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটে যান। ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। দরজা ধাক্কাধাক্কির পরেও না খুললে তাদের সন্দেহ হয়। পরে পুলিশকে ফোন দিলে তারা ফায়ার সার্ভিসকে নিয়ে এসে দরজা ভাঙলে ওই ছাত্রীকে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

জানা যায়, নিহতের স্বামীর নাম আসিফ মোর্শেদ (২৬)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বিভাগ থেকে অনার্স শেষ করেছেন। তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব এখলাসপুরের বাসিন্দা আবদুল মালেকের ছেলে।

আসিফ মোর্শেদ জানান, রোববার বিকেল ৪টার দিকে মিমের সঙ্গে তার কথা হয়। এরপর তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সেহেরির সময় ফোন দিলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। রাত সাড়ে ৪টায় তিনি ঢাকা থেকে রওনা হন। বাসায় এসে বাড়িওয়ালাকে সঙ্গে নিয়ে ফ্ল্যাটে গেলে, দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসে দরজা ভেঙে তার স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়।

নিহতের সহপাঠীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের ৪০৯ নম্বর রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন মিম। বিয়ের পর থেকে তিনি কখনো হলে থাকতেন, কখনো স্বামীর সঙ্গে মনসুরাবাদে থাকতেন। বিয়ের পর কারো সঙ্গে তেমন কিছু শেয়ার করতেন না মিম। হঠাৎ করে এই ঘটনায় তারা বিস্মিত হয়েছেন।

ঘটনাটি আত্মহত্যা, নাকি অন্যকিছু- প্রশাসনকে সেটি তদন্ত করে বের করার অনুরোধ জানান তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা সকাল ১১টায় খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। তখন দেখি পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস চলে এসেছে। এরপর দরজা ভাঙলে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, আমরা খবর পেয়ে পুলিশ পাঠাই। সেখানে পুলিশ গিয়ে ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের জনয় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত বলা যাবে।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ