শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টি ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে গণ-ইফতার কর্মসূচি পালন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৩ মার্চ) রমজানের দ্বিতীয় দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে শিক্ষার্থীরা গণ-ইফতার কর্মসূচি পালন করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমামসহ শত শত শিক্ষার্থী।
গণ-ইফতারে অংশ নেওয়া শোয়েব নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, সিয়াম বা রোজা ইসলামের অন্যতম একটি অংশ। কিন্তু শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টিকে বন্ধ ঘোষণা করেছে। তারই প্রতিবাদে আমরা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ স্বরূপ গণ-ইফতারের আয়োজন করতেছি।
এ বিষয়ে আবু হাসান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান খুব ধুমধামে হতে পারে, তাহলে সেখানে ইফতার হতে পারবে না কেন? ইফতারও তো মুসলমানদের সংস্কৃতি। এটাকে আমরা প্রগতিশীলতা মনে করি না, এটাকে ইসলাম বিদ্বেষ মনে করি। তাই শাবিপ্রবি এবং নোবিপ্রবি এর এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই।
এ বিষয়ে সেলিম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, একটি মহল চায়, বাংলাদেশ থেকে ইসলামিক কালচার উঠে যাক। আমরা এটা কখনো হতে দিতে পারি না। এ রকম সব ধরনের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত অবস্থান আছে। কোনো নাস্তিকের মতাদর্শ বাংলার মাটিতে প্রতিষ্ঠিত করতে দেব না।
উল্লেখ্য, গত রোববার ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার পার্টি আয়োজন না করার অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। পরদিন সোমবার সকালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের কথা উল্লেখ করে ইফতার পার্টি আয়োজন না করার অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ