ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬

ইবি উপ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে অপ-প্রচারের অভিযোগ

প্রকাশনার সময়: ১৩ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫১

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে প্রশাসন ও সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার চন্দন কুমার দাসের নিয়োগ বাণিজ্য সংক্রান্ত একটি ‘হোয়াটসঅ্যাপে কথপোকথন’ ফাঁস হয়েছে।

রোববার (১০ মার্চ) রাত ১১টার দিকে ‘ইবির ভাইরাল নিউজ’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে এ কথপোকথন ফাঁস হয়।

এতে উপ-উপাচার্যের মোবাইল নাম্বার সম্বলিত (০১৭১১০০৭১৯২) হোয়াটসঅ্যাপে কথপোকথনের তিনটি স্ক্রিনশট পোস্ট করা হয়। এ ঘটনাকে মিথ্যা, বানোয়াট, অপপ্রচার দাবি করে সোমবার উপ-উপাচার্যের একান্ত সচিব সোহেল রানা ইবি থানায় সাধারণ ডায়েরিভুক্তির (জিডি) আবেদন করেছেন। (জিডি নম্বর ৪৪৪)

জিডিতে বলা হয়, গত ১০ মার্চ রাত ১১টায় ইবি ভাইরাল নিউজ নামক অজ্ঞাতনামা ফেসবুক আইডি থেকে উপ-উপাচার্যকে জড়িয়ে (মালী নিয়োগ নিয়ে প্রো-ভিসি খাম্বা মাহবুবুর রহমানের সাথে তার ঘনিষ্ঠ চন্দনের কথোপকথন ফাঁস। রশিদের চাকুরি শিওর করেছেন প্রো-ভিসি খাম্বা মাহবুব) শীর্ষক একটি মিথ্যা স্ট্যাটাস দেয়। উক্ত বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখতে পেয়ে অজ্ঞাতনামা ফেসবুক আইডির সম্পর্কে এবং এরূপ মিথ্যা স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।

স্ক্রিনশটগলোতে দেখা যায়, নিয়োগের বিষয়ে আপডেট জানতে চেয়ে অপরপাশ থেকে উপ-উপাচার্যকে মেসেজ দেওয়া হয়। তখন উপ-উপাচার্য তাকে চন্দন বলে সম্বোধন করে এ বিষয়ে পরবর্তীতে জানাবেন বলে জানান। প্রতুত্তরে চন্দন লিখেন ‘স্যার রশিদ আমার কাছে ৮ দিয়ে গেছে। প্লিজ একটু দেখেন স্যার।’ তখন উপ-উপাচার্য তার সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন বলে মেসেজ দেন। এর প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর রশিদের চাকরি নিশ্চিতের কথা জানিয়ে পুনরায় চন্দনকে মেসেজে লিখেন ‘রশিদ ডান। ডোন্ট ওরি। ভিসি প্রবলেম করতেছিল। বাট এভরিথিং ওকে নাও।’ এছাড়াও অর্থের পরিমাণ বাড়াতে রশিদকে বলার জন্য চন্দনকে মেসেজ দেন তিনি। এবং বাড়ানো বিষয়টা খেয়াল রাখতে পরবর্তীতে আবার মেসেজ দেন। জবাবে চন্দন লিখেন, ‘আমি বলেছি স্যার। আফটার জয়েনিং ২ দিতে চেয়েছে।’

এ বিষয়ে চন্দন কুমার দাস বলেন, স্ক্রিনশটগুলো আমি দেখেছি। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক। এ বিষয়ে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আশা করছি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভালোভাবে বিষয়টি বিশ্লেষণ করে একটি সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাবে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, এগুলো অসভ্যতামি, অরুচিকর, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক। একটি পক্ষ নিজেরা এসব বানিয়ে আমার ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে থানায় জিডি করা হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ