বাংলাদেশের ৪১টি প্রতিষ্ঠানের সাথে পাল্লা দিয়ে ২০২৪ সালে তিনটি ক্যাটাগরিতে দেশসেরা হয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)। স্পেন ভিত্তিক সিমাগো ইনস্টিটিউশন র্যাংকিং সম্প্রতি ২০২৪ সালের তালিকা প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে।
এর আগে, সিকৃবি সিমাগো ইনস্টিটিউশন র্যাংকিং ২০২৩ এ জলজ বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল। এবছর বিশ্ববিদ্যালয়টি জলজ বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে পিছিয়ে পড়লেও অন্য তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে।
প্রকাশিত বিষয়ভিত্তিক র্যাংকিংয়ে দেশের ৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উদ্ভাবনী বা ইনোভেশন সেক্টরে প্রথম, ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বায়োকেমিস্ট্রি, জেনেটিক্স অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিষয়ে এবং ১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইনফেকশাস ডিজিজ বিষয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)।
তবে গবেষণায় সামগ্রিক র্যাংকিংয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ২য় অবস্থানে রয়েছে। প্রথম অবস্থানে রয়েছে বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৫ম স্থানে।
এছাড়া কৃষি ও জীব বিজ্ঞানবিষয়ক অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৫ম স্থান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৩য় স্থান, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৪র্থ স্থান অর্জন করেছে। কৃষিবিষয়ক র্যাংকিংয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৭ম স্থানে রয়েছে।
এ বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ধন্যবাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূইয়া বলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নতুন ধারণা উদ্ভাবনসহ অন্যান্য গবেষণা সেক্টরে ভালো করছে, এটা আমাদের জন্য আনন্দের ও গৌরবের বিষয় । প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার হার বাড়ছে । আগে সরকারি অর্থায়নে এক বছর মেয়াদের প্রকল্প থাকলেও আমরা তিন বছর মেয়াদী করেছি, যেন গবেষণার ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, খাদ্য উৎপাদন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ চাহিদা মেটাতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা অক্লান্ত পরিশ্রম ও গবেষণা করে যাচ্ছে।
উপাচার্য আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা আরও জোরদার করার জন্য নতুন ল্যাব স্থাপনসহ ল্যাবের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আমরা ল্যাবগুলোকে নতুন একটা প্রকল্পের মধ্যে আনার চেষ্টা করছি, যাতে গবেষকরা আরও গবেষণার হার বাড়াতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণায় মনোনিবেশ করায় আজকের এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন গবেষণাকে মাঠ পর্যায়ে পৌঁছিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করাই এখন মূল উদ্দেশ্য। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।
সিমাগো ইনস্টিটিউশন র্যাংকিং (এসআইআর) ২০০৯ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের বার্ষিক আন্তর্জাতিক র্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে। এসআইআর একটি স্পেন ভিত্তিক গবেষণা সংগঠন। যারা প্রতিবছর সরকারি, স্বাস্থ্য, বিশ্ববিদ্যালয় এবং নন প্রফিট এই পাঁচটি ক্যাটাগরিতে, তিনটি ফ্যাক্টর এর ওপর ভিত্তি করে সতেরোটি সূচক বিবেচনায় গবেষণার ফলাফল, আন্তর্জাতিক কোলাবোরেশন, ন্যাচারাল ইমপ্যাক্ট এবং প্রকাশনার হারের ভিত্তিতে গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক আন্তর্জাতিক র্যাংকিং প্রকাশ করে থাকে।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ