শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার পার্টি না করার অনুরোধে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে গত ১০ মার্চ। এ নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচিত হয় শাবিপ্রবি প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট যে কেউ নিজেদের অর্থায়নে ইফতার পার্টির আয়োজন করতে পারবে বলে পূর্ববর্তী বিজ্ঞপ্তির ব্যাখা প্রদান করে প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে উপ-রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসনের অবস্থান তুলে ধরে বলেন, প্রতিবছর রমজান মাসে ইফতার পার্টি আয়োজনে বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্থিক সহায়তা করা হতো। তবে এ বছর পবিত্র রমজান মাসে সরকারিভাবে বড় করে ইফতার পার্টি উদযাপন না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ কমাতে এবারের রমজানে সংশ্লিষ্ট কাউকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট যে কেউ নিজেদের অর্থায়নে ইফতার পার্টির আয়োজন করতে পারবে।
এর আগে গত ১০ মার্চ প্রশাসনের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রেক্ষিতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলকে আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার পার্টির আয়োজন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ইফতার পার্টি বন্ধের পায়তারা নিয়ে প্রশাসন ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি না করার অনুরোধ জানায়। কর্তৃপক্ষের এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সিদ্ধান্তকে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে যখন দেশব্যাপী ছাত্রমহলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। তখনই কর্তৃপক্ষ নিজেদের অবস্থান জানাতে ফের বিজ্ঞপ্তি দেয়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, প্রশাসনের পূর্ববর্তী বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে পরবর্তী বিজ্ঞপ্তির কোন প্রাসঙ্গিকতা নেই।
প্রাসঙ্গিকতা নেই বলে শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, প্রশাসনের এমন দূরভিসন্ধিমূলক বিজ্ঞপ্তির আরো সুস্পষ্ট ব্যাখা দেওয়া উচিত ছিল।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ