রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আজ (১২মার্চ) শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। ফলে আজই জানা যাবে, রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে কি না।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়টি শুনানির জন্য রয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীমের চেম্বার জজ আদালত গত সোমবার (১১ মার্চ) হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের ওপর কোনো স্থগিতাদেশ দেননি। আদালত এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দিন ঠিক করেন।
আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ (এসকে) মুহাম্মদ মোর্শেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ।
এর আগে রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সেটি চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হয়।
রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জারি করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে পুরো রমজান মাসে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (১০ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে সেদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ ও আইনজীবী মাহমুদা খানম। এ বিষয়ে রিটকারীর পক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ জানান, রমজানে প্রাথমিক স্কুল ১০ দিন এবং হাইস্কুল ১৫ দিন খোলা রেখে সরকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করে এবং একই সঙ্গে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণকল্পে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধনপূর্বক আসন্ন পবিত্র রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে, ১১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
নয়া শতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ