ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬

শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে শাবি ছাত্রলীগের ৮ কর্মী বহিষ্কার

প্রকাশনার সময়: ১১ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৬

শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হল থেকে ছাত্রলীগের ৮ কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গত ৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে সংঘটিত শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সোমবার (১১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বহিষ্কারের তথ্যটি জানা যায়।

বহিস্কৃতরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মামুন শাহর অনুসারী ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষাথী সাদমান হাফিজ ও রিফাত চৌধুরী রিয়াজ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পলিটিকাল স্টাডিজ বিভাগের মোব্বাশ্বির বাঙ্গালী, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মহসিন নাইম ও ইংরেজি বিভাগের তৈমুর সালেহিন তাউস, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় মিয়া ওরফে রাহাত হাসান হৃদয় এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের তানভীর আহমেদ ওরফে তানভীর ইশতিয়াক। অন্যদিকে সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের অনুসারী ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান।

এ বিষয়ে প্রক্টর কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৮ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। এখন নতুন করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বিকালে ২০২১-২২ শিক্ষার্থীদের ব্যাচের নামকরণ নিয়ে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে কথোপকথন হয়। ব্যাচের নাম সেরা-২১ দেওয়া হয়। যেখানে ব্যাচের নামকরণ নিয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও মামুন শাহর সমর্থক তানভীর ইশতিয়াক আপত্তি তুলে। তখন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও খলিলের সমর্থক শান্ত তারা আদনান তাকে (ইশতিয়াক) শাহপরাণ হলে ডাকেন। তখন তাদের মাঝে উচ্চবাচ্চ হলে ঘটনার মীমাংসার উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতারা শাহপরাণ হলের গেস্ট রুমে তাদের নিয়ে বসে। এসময় মামুন শাহর কর্মী ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৈমুর সালেহীন তাওস গেস্ট রুমে ঢুকেন। মীমাংসার পক্ষপাতদুষ্টার অভিযোগ তুলে সে ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ইশতিয়াককে নিয়ে চলে যান।

পরবর্তীতে এ ঘটনার জের ধরে খলিল গ্রুপের কর্মী শান্ত তারা আদনান লাঠিসোঁঠা নিয়ে এবং ওই গ্রুপের অন্য সমর্থকরা অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে বঙ্গবন্ধু হলে গিয়ে মামুন শাহর কর্মীদের উপর চড়াও হয়। এসময় মামুন শাহর সমর্থকরা হলের গ্রাউন্ড ফ্লোরে জয় বাংলা স্লোগানে হলকে উত্তপ্ত করে তুলে। তৎক্ষণাৎ হলের নিরাপত্তাকর্মীরা হলের কেচি গেট বন্ধ করে দেয়। তখন খলিল গ্রুপের কর্মীরা হলের বাহির থেকে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে মামুন শাহ গ্রুপের দুই কর্মী আহত হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে মামুন শাহর সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হল গেট থেকে বের হয়ে খলিলুরের সমর্থকদের ধাওয়া দেন। এতে খলিলুরের সমর্থকরা পিছু হটেন।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ