ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১, ৮ রজব ১৪৪৬

পাঁচদফা দাবিতে জাবির প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

প্রকাশনার সময়: ১১ মার্চ ২০২৪, ১৪:০১

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে(জাবি) নিপীড়কদের সহায়তা করার অভিযোগ এনে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ সাব্বির আলমের অপরাধ তদন্ত করে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতিসহ পাঁচ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম 'নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ'।

রোববার (১০ মার্চ) রাতে এ অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা করেন মঞ্চের সংগঠক ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল পৌনে নয়টার দিকে অবরোধ শুরু করে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্ত করে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা, নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বহিস্কারাদেশের প্রজ্ঞাপন জারি ও অফিস আদেশ প্রণয়ন করতে হবে এবং ইতঃপূর্ব যৌন নিপীড়ন সেলে উত্থাপিত সকল অমিমাংসিত অভিযোগসহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনা, মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িতদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের বিরদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

অবরোধে যুক্ত থাকা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণের যে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল, গতকাল সেটি সিন্ডিকেটে উত্থাপন করা হয়েছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে ওই তদন্ত প্রতিবেদনে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও সিন্ডিকেট যথাযথভাবে পর্যালোচনা করেনি। উপরন্ত তারা বলেছেন প্রক্টর এবং প্রভোস্টের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণস্বরূপ কোনো কিছু পাননি। এটা হতেই পারে না কারণ আমরা নিজেরাও তাদের তথ্য প্রমাণ দিয়েছি, উপস্থাপন করেছি। কিন্তু তারা যেহেতু বলেছে তথ্য প্রমাণ পায়নি এটা দুরভিসন্ধিমূলক।'

সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব জামান বলেন,'আমাদের যে পাঁচটা দাবি রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম দাবি ছিল- মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট এবং প্রক্টরের অব্যাহতি। গত পরশুদিন আমাদের মশাল মিছিল শেষে এ বিষয়ে একটা অভিযোগপত্র দিয়েছি। প্রক্টর যে একটা অপরাধী চক্রের সঙ্গে জড়িত, বেশ কিছু অপরাধের সঙ্গে জড়িত সেটাও আমরা অভিযোগপত্রে লিখেছি। যে নিপীড়নের কারণে একজন শিক্ষক (মাহমুদুর রহমান জনি) বরখাস্ত করা হয়েছে সেই ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীকে দায়মুক্তি পত্র লেখানোর অভিযোগ রয়েছে প্রক্টরের বিরুদ্ধে। তারপরও প্রক্টরের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।'

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ