ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১, ৮ রজব ১৪৪৬

বঙ্গমাতায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আহত ৮ 

প্রকাশনার সময়: ০৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৩

জামালপুরের মেলান্দহে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় ৮ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) রাত ১০টার দিকে জামালপুর শহরের পশ্চিম নয়াপাড়া এলাকায় নিরিবিলি মেসের সামনে প্রথম দফায় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় আবার রাত ১০টার দিকে বনপাড়া কবরস্থানের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় স্থানীয় বখাটে দলের সদস্যরা।

আহতরা হলেন- আব্দুল্লাহ আল নোমান, মনির হোসেন, ফায়জুর রহমান ফাহিম, রিয়াদ, জোবায়েদ, গুলজার, আব্দুল কাদের জিলানী ও ইউনুস আলী। আহতরা সবাই কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী।

এদের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য আব্দুল্লাহ আল নোমান ও মনির আহমেদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনজন শিক্ষার্থী জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন ৪ জন।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী রাতে চা পান করতে বের হলে এসময় স্থানীয় কিছু বখাটে ছেলে তাদের থামিয়ে গালিগালাজ করেন। এক শিক্ষার্থীর মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা বাঁধা দিলে তাদের ওপর আক্রমণ করে। এসময় আরও কয়েকজন বখাটে সদস্যরা এসে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীরা ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। পরে রাত ১০টার দিকে বখাটেদের কাছ থেকে ফোন ফিরিয়ে নিতে কথা বলতে গেলে তারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ শিক্ষার্থী আহত হয়।

আহত শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, আমি আমার বন্ধু ও দুই বড় ভাইয়ের সাথে রাতে চা খেতে বের হই। আমাদের মেসের সামনেই থাকা কিছু বখাটেরা আমাদের পথ আটকিয়ে ধরে। তারা কয়েকজন মাতাল অবস্থায় ছিল। তখন আমাদের বকাঝকা ও ধাক্কানো শুরু করে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিলে আমাদের উপর আরও চড়াও হয় তারা। এক পর্যায়ে আমার ফোন কেড়ে নেয়।

তিনি আরও বলেন, এরকম চলতে থাকা অবস্থায় আশেপাশের মানুষ জমে যায়। আমাদের মেসের মালিকও নিচে চলে আসে। মালিকের সঙ্গেও বখাটেদের কথা কাটাকাটি চলতে থাকে। তখন আমরা মেসের গেটের মধ্যে চলে গেলে গেটের মধ্যে থেকে সমাজকর্মের দ্বিতীয় ব্যাচের সামিউল ভাইকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে মারতে শুরু করে। রিকশাওয়ালা এসে ঠেকালে তাকেও মারধর শুরু করে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর এমন হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক ইউসুফ আলী বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের আমরা আগে চিকিৎসা দিচ্ছি। এই ঘটনায় হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। দুপুরের মধ্যেই আমরা শনাক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করবো।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহব্বত কবীর বলেন, এই ঘটনার পরে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ