জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ রফিক জব্বার হল এবং শেখ রাসেল হলের মধ্যবর্তী রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছে শেখ রাসেল হল ও শহীদ তাজউদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার(৭ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন তারা। এর আগে একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন শিক্ষার্থীরা।
অবরোধে অংশগ্রহণ করা একাধিক শিক্ষার্থী জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা দুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থী হল থেকে ক্লাস, খাবার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার ক্ষেত্রে জেনারেটর বাজার সংলগ্ন একটি রাস্তা ব্যবহার করছি। বেশিরভাগ সময় যাতায়াতের জন্য রিকশা পাওয়া যায় না। বর্তমানে এই দীর্ঘ রাস্তা ব্যবহার করে যাতায়াত করতে আমাদের দ্বিগুণ অর্থ ও সময় ব্যয় হচ্ছে, যা আমাদের স্বাভাবিক শিক্ষাজীবনকে ব্যহত করছে। রমজানের সময় এ সংকট আরও তীব্র আকার ধারণ করবে। তাই আসন্ন রমজানে শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শহীদ রফিক জব্বার হল এবং শেখ রাসেল হলের মধ্যবর্তী রাস্তা খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।'
এর আগে, গত বছরের ২৭ জানুয়ারি শহীদ রফিক-জব্বার হলের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও খেলার মাঠ নির্দিষ্টকরণ, হলের সামনে দিয়ে তাজউদ্দীন আহমদ হল ও শেখ রাসেল হলের বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করাসহ ৪ দফা দাবিতে শহীদ রফিক জব্বার হল ছাত্রলীগের নেতৃত্বে হল সংলগ্ন রাস্তায় স্থায়ী দেয়াল নির্মাণ করেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। এতে যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েন শেখ রাসেল হল ও শহীদ তাজউদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা।
এরপর গত ৫ মার্চ রাতে দুই হলের মধ্যবর্তী রাস্তায় নির্মিত দেয়াল ভাঙাকে কেন্দ্র করে শহীদ রফিক জব্বার হলের সাথে শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ হল ও শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরেরদিন শহীদ রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থীরা ওই রাস্তায় এক্সাকেভেটর দিয়ে মাটি খুঁড়ে গর্ত করে সেখানে পানি ভর্তি রেখেছে। এতে দুই হলের মধ্যে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছে শেখ রাসেল হল ও শহীদ তাজউদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, অবরোধ চলাকালে বিকেল ৫টার দিকে শিক্ষার্থীদের বাধা সত্ত্বেও প্রশাসনিক ভবনের তালা কেটে বের হয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রক্টরিয়াল টিম। এসময় উদ্ভুত বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম কিছু বলতে রাজি হননি।
তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, 'আমরা দুই হলের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাদের দাবিগুলো শুনেছি। আগামী ১০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সিন্ডিকেট সভা রয়েছে। সেখানে তাদের দাবিগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ