ঢাকা, বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১, ৭ রজব ১৪৪৬

বাকৃবির প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদকের চিঠি

প্রকাশনার সময়: ০৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:১৬

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহীন ইসলাম খান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মেরামত ও সংস্কার কাজের টাকা পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাতের অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান পূর্বক প্রতিবেদন জমাদানের জন্য বাকৃবি উপাচার্য বরাবর রেকর্ডপত্র / কাগজপত্র চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. এমরান হোসেন।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পাঠানো আবেদন পত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময়ে সংস্কার হওয়া কাজের কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে।

মো. এমরান হোসেন স্বাক্ষরিত দুদকের চিঠি থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই ইস্যুকৃত শহীদ শামসুল হক হল, শহীদ নাজমূল আহসান হল ও আশরাফুল হক হলের মেরামত ও সংস্কার কাজ, ২০১৯ সালের ১ আগস্টে মূলে বরাদ্দকৃত বাকৃবির মূল গেইট নির্মাণের কাজ, ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর ইস্যুকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের সুলতানা রাজিয়া হলের বর্ধিত ও আইসোলেশন ভবনের আংশিক নির্মাণ ও বিভিন্ন মেরামত কাজ, ২০২৩ সালের ১ মার্চ ইস্যুকৃত বাকৃবি কমিউনিটি সেন্টার মেরামত ও সংস্কার (সিভিল ও ইলেকট্রিক্যাল) কাজ, ২০২০ সালের ১৫ জুলাই ইস্যুকৃত ঈশা খাঁ হল ও শাহজালাল হলের মেরামত ও সংস্কার কাজ, ২০১৯ সালের ১ আগস্ট ইস্যুকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের সুলতানা রাজিয়া হলের বর্ধিত ও বিভিন্ন মেরামত কাজ, ২০২২ সালের ১৯ মে ইস্যুকৃত সুলতানা রাজিয়া হলের বর্ধিত ও আইসোলেশন ভবনের আংশিক নির্মাণ ও বিভিন্ন মেরামত ও সম্প্রসারণ এবং ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর ইস্যুকৃত ছাত্রী হলের বিভিন্ন মেরামত ও সংস্কার কাজের রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়।

আবেদন পত্রে উল্লেখিত এসব কাজের অনুমোদিত প্রাক্কলন, নকশা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), দরপত্র বিজ্ঞপ্তি, দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটির প্রতিবেদন, দরপত্র বাছাই ও মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন, কার্য সম্পাদন জামানতের প্রমাণপত্র, কার্য সম্পাদনের প্রত্যয়নপত্র, নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড, চুক্তিপত্র, জামানত, বিল ভাউচার, চেকের মুড়ি, প্রজেক্ট সমাপ্তের সনদ, সম্পাদনের জামানত অবমুক্তির নথিপত্রসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রেকর্ডপত্র আগামী ১০ মার্চের মধ্যে দুদক কার্যালয়ে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।

প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহীন ইসলাম খান এ বিষয়ে বলেন, আমরা আমাদের দিক থেকে স্বচ্ছ। বেনামে কেউ একজন অভিযোগ করেছে দুদক বরাবর। যার স্বচ্ছতা যাচাইয়ের জন্যে দুদক থেক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাগজ চাওয়া হয়েছে। উপাচার্য মহাদয়ের সাথে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা কাগজপত্র প্রায় প্রস্তুত করে ফেলেছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দুদকের কাছে কাগজগুলো দিতে পারবো বলে মনে করছি।

এ বিষয়ে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, দুদক থেকে তদন্তের স্বার্থে কিছু কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। আমি প্রধান প্রকৌশলীকে কাগজপত্রগুলো দেওয়ার জন্যে বলেছি। কেউ একজন হয়তো অভিযোগ দিয়েছে। সেটির স্বচ্ছতা এবং প্রাথমিক তদন্তের জন্য তারা কাগজপত্র চেয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো কিছু প্রমাণিত হয়নি।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ