ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ফি জমা দিলেও একাডেমিক শাখার খাতায় না তোলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ।
শনিবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সংগঠনটির দলীয় টেন্ট থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নুর আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য মুখলেছুর রহমান সুইট।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ইবি সংসদের সহ-সভাপতি উদয় দেবনাথ, সাদিয়া মাহমুদ মীম, দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন, অর্থ সম্পাদক আহমাদ গালিবসহ অন্যান্য নেতারা।
বক্তারা বলেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ২০ শতাংশ ফি কমানোর আশ্বাস দেয় তৎকালীন প্রশাসন। তবে ওই দুই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে সনদ উত্তোলন করতে গেলে পুনরায় বকেয়া ফি জমা দেওয়ার দাবি জানান কতৃপক্ষ। যা সম্পূর্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিক।
সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ফি সমন্বয় তো করেনি, উপর্যুপরি শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতে ২০১৯-২০ সেশন থেকে অন্যায্যভাবে ফি বাড়িয়েছে। যা অমানবিক আচরণ। অনতিবিলম্বে ফি সমন্বয় বাস্তবায়ন এবং অন্যায্য ফি প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দাবি সমূহ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন না করেন, তাহলে ছাত্র ইউনিয়ন ইবি সংসদ সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
এদিকে একই দাবিতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে, যারা অতিরিক্ত ফি জমা দিয়েছে তাদের টাকা মাস্টার্সে সমন্বয় করার দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, ২০১৯ সালে তৎকালীন প্রশাসন শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের বর্ধিত ফি ২০ শতাংশ সমন্বয়ের ঘোষণা দেন। যারা ইতোপূর্বে ফি জমা দিয়েছিল তাদের ফি পরবর্তী সেমিস্টারে সমন্বয় করা হবে উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন। কিন্তু প্রশাসনে রদবদল হওয়ায় পূর্বের প্রজ্ঞাপনের তোয়াক্কা না করে একাডেমিক শাখা পুনরায় সম্পূর্ণ ফি আদায় করছে। সেসকল ফি না দেওয়া পর্যন্ত আমরা পরীক্ষার নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে সার্টিফিকেট, নম্বর পত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র উত্তোলন করতে পারছি না। যা উক্ত দুই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণার শামিল।
পরে তারা তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ