পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) কর্মকর্তা কর্তৃক এক শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাকে মুরগি চুরির সাথে তুলনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াজকুরুনি বলেন, ‘মুরগি চুরির মতো ঘটনায় শিক্ষকদের এভাবে বিচার দাবি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তদন্তে অভিযুক্ত কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয় আইন তার বিচার করবে, তবে যদি অন্যায়ভাবে শাস্তি দেওয়া হয় আমরাও কর্মসূচি হাতে নিতে জানি।
এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কর্মকর্তারা যদি শিক্ষার্থীদের ফাইল না ছাড়ে তবে তাদের ডিগ্রি সম্পন্ন করা কষ্টসাধ্য হবে, যদি এভাবে তারা ক্লাস-পরীক্ষা বাদ দিয়ে আন্দোলন করে তবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অন্যদিকে, মানববন্ধনে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘অভিযুক্ত কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হলে তদন্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় যে ব্যবস্থা নেবে তা মেনে নেওয়া হবে, তবে কিছু হলেই শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ করে রাখে, এতে দাপ্তরিক কাজে বিঘ্নতায় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
অন্যদিকে টানা ৪র্থ দিনের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তা শামসুল হক রাসেলের চাকুরিচ্যুতির দাবিতে আন্দোলন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীরাও আজ ক্যাম্পাসে রাসেলের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এসময় তাদের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে রাসেলের বিরুদ্ধে দেয়াল লিখন করতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা শামসুল হক রাসেলের বিরুদ্ধে সহকারী অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলামকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। তারপরই রাসেলের চাকুরিচ্যুতির দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ