ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

১২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮ জনকে বাদ দিয়ে পরীক্ষা, প্রতিবাদে অনশন

প্রকাশনার সময়: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৮

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স পরীক্ষায় ১২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮ জনকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ডিসকলেজিয়েট করার অভিযোগ উঠেছে।

এর প্রতিবাদ জানিয়ে এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অনশন করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে উপ-উপাচার্যের আশ্বাসে বেলা ১২টার দিকে অনশন ভঙ্গ করেন তারা।

অনশনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের ব্যাচে থিসিস ও নন-থিসিস পর্যায়ের মোট ১২ জন শিক্ষার্থী আছে। এর মধ্যে ২ জন কলেজিয়েট, ২ জন নন-কলেজিয়েট এবং বাকি ৮ জনকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ কম উপস্থিতি দেখিয়ে ডিসকলেজিয়েট করা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪ শিক্ষার্থীকে গোপনে একদিনের মধ্যে ফরম পূরণ করিয়ে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, ডিসিপ্লিনে চারজন শিক্ষক থাকার পরেও সহকারী অধ্যাপক মনির উদ্দিন আহম্মেদ একাই ৬টি ব্যবহারিক কোর্স নিয়ে থাকেন। ছাত্রদের সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে আসতে বললেও তিনি দুপুর ১২টা থেকে একটার মধ্যে বিভাগে আসেন। বিভাগের জুনিয়র কর্মচারীদের থেকে শুনে ওই শিক্ষক উপস্থিতি দিতেন। ফলে ক্লাসে উপস্থিত থাকা স্বত্ত্বেও অনেকে ডিসকলেজিয়েট হয়ে যায়।

অনশন কর্মসূচিতে চারুকলায় অন্যায় চলে ভিসি স্যার ঘুমাচ্ছেন কেমন করে, সন্দেহজনক সিগনেচার শিক্ষার্থীদের উপর অত্যাচার, নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে শিক্ষক আসেন ১২টার পরে, কর্মচারী দিয়ে উপস্থিতি প্রশাসনে আছে কি এই রীতি? দিনের পর দিন শিক্ষকের মানসিক অত্যাচার কে করবে এর বিচার? ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন শিক্ষার্থীরা।

অনশনরত মেহেদী হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা অনশনে বসেছি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করার দাবিতে। আমাদের শ্রেণি শিক্ষক মনির উদ্দিন দিনের পর দিন আমাদের ওপর মানসিক অত্যাচার করেছেন। আর অত্যাচারের চূড়ান্ত পর্যায়ে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের ডিসকলেজিয়েট করেছেন। আবার তিনি নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের তোয়াক্কা না করে বিভাগের আসেন দুপুরে। কাঠমিস্ত্রী এবং তার কিছু গুপ্তচর শিক্ষার্থীদের কথা শুনে এটেনডেন্স দেন। তিনি বারবার বলতেন ‘তোমরা কীভাবে পরীক্ষা দাও আমি দেখে নেব’ বলে হুমকি দেন। এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নিয়মের মধ্যে আছে আমার জানা নেই। আমরা অত্যাচারের সর্বোচ্চ অবস্থায় আজকে এখানে বসেছি।

অভিযুক্ত শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, তারা ক্লাস শুরুই করেছে দেরিতে। ডিসকলেজিয়েট হয়ে এখন যা খুশি বলছে। তবে আমি নিয়মিত আমার ক্লাস নিয়েছি। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে কয়েকদিন ধরে ডিনের সাথে আমার কথা হচ্ছে। বিষয়টা সমাধানের জন্য আলোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে একটা তদন্ত কমিটি করা হবে যদি বিভাগের কোনো দায় থাকে তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ