উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক মো. কামরুল হাসান।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মো. কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত ও রেজিস্ট্রার দপ্তরের সিল সম্বলিত এক চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানা যায়।
চিঠিতে তিনি উপাচার্যের উপস্থিতিতে কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক উপাচার্য দপ্তরে সাধারণ শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতি-২০২৪ এর কার্যনির্বাহী সদস্যদের উপর হামলার প্রতিবাদে পদত্যাগ করার কথা উল্লেখ করেন।
চিঠিতে কামরুল হাসান বলেন, আপনার অবগতি ও প্রয়োজনীয় কার্যার্থে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে শিক্ষক সমিতি-২০২৪ কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন শেষে নীল দল পূর্ণ প্যানেলে জয়ী হয়ে উপাচার্যের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের ইন্ধনে কিছু সংখ্যক বহিরাগত সন্ত্রাসী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্ছৃঙ্খল ও বিপথগামী কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী উপাচার্য মহোদয়ের উপস্থিতিতে শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত কার্যনির্বাহী সদস্য এবং সাধারণ সদস্যদের উপর হামলা করে। অনুরোধ করা সত্ত্বেও হামালাকারীদের নিবৃত করা যায়নি। দফায় দফায় তারা সাধারণ শিক্ষকদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। আমি এই হামলার ঘটনাটিকে প্রক্টর এবং প্রক্টরিয়াল বডির ব্যর্থতা হিসেবে মনে করছি। তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ পরিস্থিতিতে, প্রক্টরিয়াল বডির অব্যবস্থাপনা এবং ব্যর্থতার কারণে প্রক্টরিয়াল বডির একজন সদস্য হিসেবে কাজ করতে আমি বিব্রতবোধ করছি।
চিঠিতে তিনি আরও বলেন, প্রক্টরিয়াল বডির ব্যর্থতার প্রতিবাদ হিসেবে সহকারী প্রক্টর পদ থেকে আমি পদত্যাগ করছি। আমার এই পদত্যাগ পত্র আবেদনের তারিখ হতে কার্যকর করার জন্য অনুরোধ করছি।
এর আগে প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতা, অব্যবস্থাপনা, প্রশাসনিক অসদাচরণ, ব্যক্তিতান্ত্রিকতা এবং শিক্ষকদের প্রতি অন্যায্য আচরণের কারণ দেখিয়ে গত দুই সপ্তাহে তিনজন প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক ও দুইজন সহকারী প্রক্টর পদত্যাগ করেন।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ