ঢাকা, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১, ৩ রজব ১৪৪৬

হাবিপ্রবিতে অনুমতি ছাড়া মন্দির স্থাপনের অভিযোগ

প্রকাশনার সময়: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৬

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি জায়গায় মন্দির স্থাপনের প্রচেষ্টা চালানোর অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে শিক্ষার্থীরা বলেছে, মন্দিরের কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় প্রতিবাদ স্বরূপ আমাদের দাবিকৃত জায়গায় ভূমিপূজা সম্পন্ন করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল মাঠে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়। পূজা চলাকালীন পূজায় অংশ নেওয়া একদল শিক্ষার্থী পূজাস্থল থেকে মন্দির স্থাপনের জন্য মাইকে ঘোষণা দিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী বাঁশ, লাল ও গেরুয়া রঙের পতাকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে স্থাপিত হাবিপ্রবি স্কুলের দক্ষিণ দিক, বঙ্গবন্ধু ও জিয়া হল সংলগ্ন মাঠের উত্তর পাশের স্থানটিতে বাঁশের খুঁটি ও পতাকা স্থাপন করেন। এর ঠিক পশ্চিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎসবিজ্ঞান অনুষদের গবেষণা পুকুর রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লানিং, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়ার্কস শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. এ.টি.এম. শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই স্থানটিতে মাস্টার প্লানে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। তাদের ওই স্থান ব্যবহারের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা নিজেরা একাজ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহাবুব হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কোনো স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যানিং শাখার পরিকল্পনা ছাড়া কোনো স্থাপনা করা আইনসিদ্ধ নয়। আমরা তাদেরকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করেছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও ডরমিটরি-২ হলের নিচতলায় রিডিং রুম আছে। তা ছাড়া বেশি রাত পর্যন্ত মন্দিরে ধর্মীয় কার্যক্রম চললে পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটবে। মাঠের পাশেই এই স্থাপনা হলে ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলার সময় বল গিয়ে লাগবে, যা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতা বিনষ্ট ও বিশৃঙ্খলতার সৃষ্টি করবে এমন আশঙ্কায় এরমধ্যে দুই হলের শিক্ষার্থীরা মৌখিক অভিযোগ করেছে বলেও জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ওই স্থানে মন্দির নির্মাণের কোনো অনুমতি নেই। তারা জোরপূর্বক নির্মাণের চেষ্টা করছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ। কোনো শিক্ষার্থী বা সংগঠন চাইলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া যত্রতত্র মসজিদ, মন্দির, মাদরাসা বা ক্লাবের জন্য জায়গা নির্ধারণ বা স্থাপনা নির্মানের এখতিয়ার নেই।

পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য ও সাবেক ট্রেজারার এবং কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে মিটিং করবো। এরপর আপনাদের জানাবো।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ