কৃষি আমাদের রক্ষাকবচ বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বরিশাল নগরীর হোটেল গ্র্যান্ড পার্কে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ববির উপাচার্য (রু.দা.) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে উত্তীর্ণ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘মেধাকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে মেধাকে প্রকাশ করার ও মেধাবী গড়ে তোলার অন্যতম প্রয়াস। আমাদের সেই মেধা দরকার, যেই মেধা যন্ত্রকে দখল করবে। এগিয়ে যাওয়ার প্রধান উপাদান গুণগত শিক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথাসিদ্ধ পাঠদানের পাশাপাশি সহশিক্ষার সাথে যুক্ত থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বসবে প্রাণের মেলা। আমাদের শিক্ষার্থীদের সুপার স্কিলে মনযোগী হতে হবে। আমাদের আরও বেশি ডিজিটালে দক্ষতা অর্জন করা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোর চেয়ে শিক্ষকদের দক্ষ হওয়া বেশি জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা পদ্ধতির উপর গুরুত্ব দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষার অগ্রগতির জন্য বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি অর্থনীতি পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেন। শিক্ষা অর্থনীতিকে পরিবর্তন করে দেয়। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ছিলো আট বিলিয়ন ডলার। আর এখন হাফ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০৪১ সালের মধ্যে অর্থনীতির আকার হবে এক ট্রিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া আমাদের সংকটে কৃষিই ভরসা। কৃষি আনুষ্ঠানিকভাবে ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়। কৃষি আমাদের রক্ষাকবচ।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. শওকত আলী। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন কৃতি শিক্ষার্থী মতবিনিময় সভার আহ্বায়ক দিল আফরোজ খানম। অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরী।
কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্রাণ রসায়ন ও জীব প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফা রহমান এবং দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ মোরশেদ।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, লাইব্রেরিয়ান, প্রভোস্ট, প্রক্টর, শিক্ষক, পরিচালক, দপ্তরপ্রধান, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ