তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংঘর্ষ জড়ায় ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপের নেতাকর্মীরা। দুই উপগ্রুপ হচ্ছে- সিক্সটি নাইন ও বিজয়।
এসময় ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে এবং সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেয়। পরে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল ও কাচের বোতল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা যায়।
জানা যায়, গত ১২ ফেব্রুয়ারিতে জীববিজ্ঞান অনুষদের সামনে ২০১৯-২০ সেশনের কামরুল ইসলামকে (বিজয় গ্রুপ) মারধর করে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কয়েকজন কর্মী। পরে গতকাল রাতে একই সেশনের শোয়েবকে (সিক্সটি নাইন) মারধর করার বিষয়ে কামরুল জিজ্ঞেস করেন। এ ঘটনার জেরে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে প্রক্টরিয়াল বডি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাতের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ফের সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
এবিষয়ে কামরুল ইসলাম নয়া শতাব্দীকে বলেন, আমি ক্যাম্পাসে আসার পরে শাহজালাল হলের এক্সটেনশন রুমে থাকতাম। এখান থেকে আমাকে সিক্সটি নাইন গ্রুপে জয়েন করানো হয়। পরে আমি লেখাপড়া ও ব্যক্তিগত কারণে সোহরাওয়ার্দী হলে উঠি। এটা নিয়ে ওদের (আক্রমনকারীদের) জেদ ছিল। ১২ তারিখ আমি ফ্যাকাল্টি থেকে বের হওয়ার সময় ৮ জনে মিলে আমাকে মারধর করে। পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে আমি শোয়েবকে আমাকে মারধরের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করি এবং বিষয়টা মীমাংসা করার জন্য বলি। পরে এটা নিয়ে রাতে সংঘর্ষ হয়। আজকে পিঠা উৎসবে শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী রাশেদকে পূর্বের ঘটনার জের ধরে তারা মারধর করে। সেই মারধর থেকে রূপ নেয় সংঘর্ষে। আমি এ সমস্যার একটা নিরপেক্ষ সমাধান চাই। অতিদ্রুত মিমাংসা হোক এটা চাই।
এবিষয়ে শোয়েবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না। আমি জুনিয়র। আমাদের সিনিয়রদের থেকে জেনে নিন।
পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন৷
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ হয়েছে। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শাহজালাল হলে ও সোহরাওয়ার্দী হলের ছাত্রদের মাঝে হাতাহাতি হয়, যা সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। একটা ছেলেকে মেরেছে, সে এখন ঠিক আছে। আমরা পুলিশ প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি৷ ছাত্ররা নিজ নিজ হলে অবস্থান করেছে। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ