ঢাকা, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১, ৩ রজব ১৪৪৬

হাবিপ্রবিতে গবেষণা মাঠের ফসল চুরির অভিযোগ

প্রকাশনার সময়: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১৭ | আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫৩

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) গবেষণা মাঠের ফসল চুরি হয়ে যাওয়ায় গবেষণা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গবেষকরা। চুরি প্রতিরোধে কোনো কার্যকরী উপায় না পাওয়ায়, গবেষণায় আগ্রহ হারাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের টমেটোর উচ্চ ফলনে ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার সংক্রান্ত একটি রিসার্চ ফিল্ডে দেখা যায়, চুরি ঠেকাতে নেট দিয়ে রিসার্চ ফিল্ড ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এ সময় ‘বীজ সংগ্রহের জন্য গবেষণার কাজ চলমান, ফল সংগ্রহ সম্পূর্ণ নিষেধ।’ সতর্কবাণী সংশ্লিষ্ট একটি পোস্টার বায়োকেমিস্ট্রি এবং মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের উদ্যোগে টানানো হয়।

গবেষণার দায়িত্বরত প্রধান বায়োকেমিস্ট্রি এবং মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো আজিজুল হক অভিযোগ করে বলেন, ভালো গবেষণার ফল আসার পর ধরে রাখতে পারলাম না, যেইটা সত্যিই দুখঃজনক। চারপাশে নেট দিয়ে ঘিরে রাখার পরও জমির পাশে নোটিশ দিয়ে রেখেছিলাম, যাতে কেউ গবেষণার টমেটো সংগ্রহ না করে। এসব তোয়াক্কা না করেই গতকালই (১২ ফেব্রুয়ারি) এক মণের অধিক টমেটো চুরি হয়ে গেছে। আমার পরিকল্পনা ছিলো এই টমেটো থেকে বীজ সংগ্রহ করে গবেষণায় সামনের দিকে অগ্রসর হবো। কিন্তু জৈব নিরাপত্তা না পাওয়ায় এই গবেষণার উদ্দেশ্যে পূরণ করতে পারলাম না।

এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মাঠ থেকে টমেটো, ক্যাপসিকাম ও পেঁয়াজ চুরি হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। প্রতিবছরই গবেষণার ফসল নষ্ট হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।

আরেক গবেষক ফসল শরীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের গবেষক অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম বলেন, যে সমস্ত ব্যক্তি গবেষণার স্যাম্পল তুলে নিয়ে গিয়ে গবেষণাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, এটা থেকে যেন সরে আসে। সবার প্রতি একটাই আহ্বান থাকবে যে গবেষণার স্যাম্পল যাতে নষ্ট না করে এবং এ ন্যাক্কারজনক কাজ থেকে যেন বিরত থাকে।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ফসল চুরির ব্যাপারে আমি এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ