ভিক্ষুক হিসেবে পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ানো থেকে মুক্তি দিতে কৃষিকে সমৃদ্ধ করতে আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের সম্মানিত করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম এমপি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কৃষিবিদদের ক্লাস ওয়ান মর্যাদার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বিলম্ব হলেও সেই দিনটিকে আমরা ২০০৮ সাল থেকে কৃষিবিদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছি। নিজেদের মধ্যে বিরাজনীতি ভুলে সবাই মিলে একত্রিত হয়ে কৃষি সেক্টরকে এগিয়ে নিতে আমরা এই দিনে সবাই একত্রিত হয়ে উল্লাসের সাথে দিনটি পালন করি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে দেশের কৃষি ও কৃষি সেক্টরের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু নিজেদের মধ্যকার বিভাজন বিরাজনীতিকরণ আমাদেরকে দুর্বল করে দিচ্ছে। সব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিজ্ঞানী ও কৃষি সেক্টরের সবাইকে এক হয়ে দেশের কৃষির স্বার্থে এগিয়ে যেতে হবে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কৃষিবিদ দিবস উপলক্ষ্যে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে আয়োজিত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সভায় অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আব্দুস শহীদ ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোহা: সেলিম উদ্দিন ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব কৃষিবিদ ওয়াহিদা আক্তার।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূইয়া বলেন, আমরা কৃষিবিদরা দেশের কৃষিকে এগিয়ে নিতে সফল হয়েছি, সেই কথা সর্বজন স্বীকৃত হয়েছে। তবে আমাদের সামনের দিনগুলোতে কৃষি বিষয়ক অনেক চ্যালেন্জ মোকাবিলা করতে হবে। যারা আমাদের কৃষি সেক্টরের মন্ত্রী হয়েছেন তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে বলছি, আপনাদের যোগ্য নেতৃত্ব কৃষি সেক্টরের সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে। আর আমাদের নিজেদের মধ্যে যে বিভেদ রয়েছে, তা ভুলে আজকের দিনের মতো সবাইকে একত্রিত হয়ে সামনের দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে হবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর