রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণাধীন ১০ তলা বিশিষ্ট শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হলের একাংশের ছাদ ধসে পড়ার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। তবে সময় শেষ হলেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, নির্ধারিত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়নি। তবে কবে নাগাদ প্রতিবেদন জমা হতে পারে এ বিষয়ে ফোনে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
তদন্ত কমিটির সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরি বলেন, তারা কাজ করছেন। বেশকিছু জিনিসের টেস্ট করা হচ্ছে। এগুলোর রিপোর্ট সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায় না। এজন্য সময় লাগছে।
নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়ে তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। প্রতিবেদন জমা দিতে আরও দুই-তিন লাগবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, প্রতিবেদন জমা না হওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার ও নবনিযুক্ত রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) তারিকুল হাসানের ফোনে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের ভবনের একাংশ ধসে পড়ে। এ ঘটনায় নয়জন আহত হন। ওই দিন রাতেই জরুরি সভা ডেকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। বেঁধে দেওয়া সাত কার্যদিবসের সময় সোমবার শেষ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১০ তলা শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান আবাসিক হল ও ২০ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজ করছে রূপপুরের ‘বালিশ–কাণ্ডে’ আলোচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নির্মাণাধীন দুটি ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এর আগে বিভিন্ন সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ