জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলে ছাত্রলীগ কর্তৃক স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মানববন্ধন করেছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- শাবিপ্রবির পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক জায়েদা শারমিন ও বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ফারজানা সিদ্দিকা।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মেহরাব সাদাত, বাংলা বিভাগের মাধুর্য চাকমা, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ফাহিম সিজান।

দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের মতো জায়গা ধর্ষণের এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘সিলেটের এমসি কলেজে একই ঘটনা ঘটেছিল। প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় এমন ঘটছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। এসব ঘটনায় জড়িতরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে নতুন নতুন ঘটনার জন্ম দিচ্ছে। ক্ষমতাকে ব্যবহার করে ওই নরপশুরা যেন আর কোনো মেয়েদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলতে না পারে, সেজন্য তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।’

গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাবির মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে রেখে এক নারীকে পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনের নামে আশুলিয়া থানায় একটি গণধর্ষণের মামলা করে। তারপর পুলিশ প্রধান অভিযুক্তসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তবে অভিযোগ ওঠার পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ।

নয়া শতাব্দী/টিএ/এসআর