ঢাকা, বুধবার, ১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩১, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইবিতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের লাঞ্ছনার অভিযোগ, বিচার দাবি

প্রকাশনার সময়: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৯

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম নিয়োগে দুর্নীতি ও নিয়োগ বোর্ড নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালামের কার্যালয়ে গেলে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ প্রগতিশীল শিক্ষকদের (শাপলা ফোরাম)।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উপাচার্যের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে শীঘ্রই জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছে শাপলা ফোরামের শিক্ষকরা।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ফোরামের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা থেকে এ দাবি করা হয়।

আগামী শনিবার উপাচার্যের কাছে লিখিতভাবে এ দাবি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। কার ইন্ধনে কারা এ ঘটনা ঘটেছে, তা খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি করে বিচারের আওতায় নিয়ে আনার দাবি করছি।

এদিকে, শাপলা ফোরাম ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের পক্ষ থেকে দেওয়া পৃথক বিবৃতিতেও লাঞ্ছনার অভিযোগ এনে বিচার দাবি করা হয়। বিবৃতিগুলোতে অভিযুক্তদেরকে বহিরাগত বলে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে, মঙ্গলবার হেনস্তার অভিযোগ তুলে উপাচার্যের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে ক্যাম্পাসের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। এসময় শিক্ষকরা দাবি করেন, উপাচার্যের দুর্নীতি তদন্তের বিষয় ও নিয়োগ বোর্ড নিয়ে কথা বলতে গেলে উপাচার্যের ইন্ধনে বহিরাগত ও ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে ঢুকে শিক্ষকদের হেনস্তা করে।

এদিকে, উপাচার্যের দুর্নীতির তদন্তের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করাসহ নানাবিধ দাবি নিয়ে বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি পালন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল ৯টার দিকে তাদের এ কর্মসূচি শুরু হয়।

এসময় তারা প্রশাসন ভবনের ফটক অবরোধ করে অবস্থান নেন। কর্মসূচি চলাকালে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের পাহারায় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন উপাচার্য। পরে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপাচার্যের কক্ষে সাক্ষাৎ করেন।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ইমাম নিয়োগ বোর্ড কেন্দ্র করে প্রগতিশীল শিক্ষকদের একাংশ ও কর্মকর্তারা বোর্ড বন্ধের দাবি নিয়ে উপাচার্যের কার্যলায়ে যান। এসময় বোর্ড চালু রাখার দাবিতে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা কার্যলয়ে প্রবেশ করলে উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ