ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাবিতে ভবনের ছাদ ধসের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি

প্রকাশনার সময়: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের একাংশের ছাদ ধসের ঘটনার সুষ্ঠু দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানান তারা।

এসময় আহত শ্রমিকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ, কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত, অবহেলায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনাসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কোনো গাফিলতি না থাকলে এভাবে নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ার কথা না। এখানে নির্মাণ কাজে এমন একটা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যেটি জাতীয়ভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে শালা-দুলাভাইয়ের মতো। আর এখানে যারা তদন্ত করছে তারাও প্রশাসনেরই লোক। কাজেই স্বাধীন কোনো পক্ষের তদন্তের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।

মানববন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগেও বেশ কয়েকটি ভবনে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এগুলোকে দুর্ঘটনা না বলে গাফিলতি বলা যায়। কনস্ট্রাকশন কোম্পানির নিম্নমানের ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার ও স্টান্ডার্ড মেনে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে না। ফলে এইরকম ঘটনা বারবার ঘটছে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনেরও গাফিলতি আছে। কেন তদন্ত শেষ না করে তারা কাজ শুরু করে দিল? একটা সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করে এর সত্যতা যাচাই করতে হবে। সেইসাথে কোম্পানিগুলোকেও জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে।

ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমীরুল ইনলাম কনক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলে যেখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী থাকবে সেই হল নির্মাণের আগেই ধসে পড়ছে। এখানে নির্মাণ কাজে এমন একটা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যেটি জাতীয়ভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। আমরা চাই উপযুক্ত পরীক্ষক দিয়ে পুরো ভবনের গুণগত মান পরীক্ষা করে তারপর কাজ শুরু করা হোক।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, এটাকে দুর্ঘটনা বলা যাবে না, কোনো গাফিলতি না থাকলে এভাবে নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ার কথা না। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শালা-দুলাভাইয়ের মতো। আর এখানে যারা তদন্ত করছে তারাও প্রশাসনেরই লোক। কাজেই স্বাধীন কোনো পক্ষের তদন্তের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, ‘ধসের ঘটনায় তদন্ত শুরু করতেও গড়িমসি করছে বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু নির্মাণ কাজ চলছেই। তদন্ত শেষ করার আগে নির্মাণ কাজ চলা মানে সামনে আরেকটি দুর্ঘটনার জন্য অপেক্ষা করা। তাই এই ধসের সঠিক তদন্ত শেষ করার পরে নির্মাণ কাজ শুরুর দাবি জানাচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণ কাজ চলাকালীন ১০তলা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হলের একাংশের ছাদ ধসে পড়ে। এতে ৯ জন শ্রমিক আহত হয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় এক জরুরি সভায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ