সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেছেন, বই-ই পারে একটা জাতির ভাগ্য নির্ধারণ করতে। বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করলে দেশ গড়ার জন্য যোগ্য নেতৃত্বের অভাব হয় না। যে বই পড়বে না, সে যেমন পাণ্ডিত্য অর্জন করতে পারবে না ঠিক তেমনি সমাজে মর্যাদা পাবে না। যে যতো বেশি বই পড়বে সে তত বেশি জ্ঞানের অধিকারী হবে, সমাজে তার মর্যাদা ততো বৃদ্ধি পাবে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টায় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশাখী চত্বরে অনুষ্ঠেয় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, ‘বই না পড়ে জ্ঞানার্জনের বিকল্প পদ্ধতি এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। মানুষ যখনই বই পড়ে সমাজে মতামত দেওয়ার অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ঠিক তখনই নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। এজন্য সমাজে নিজের অবস্থান একটু উপরে রাখার জন্য বই পড়ে জ্ঞানার্জনের বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের নিকট একটাই আহ্বান থাকবে বেশি বেশি বই পড়ে নিজেকে দেশের উন্নয়নের জন্য প্রস্তুত করা।’
এর আগে, 'পড়ব বই গড়ব দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে বৈশাখী চত্বরে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে গ্রন্থাগারিক সুবীর কুমার পালের সঞ্চালনায় গ্রন্থাগার দিবসের প্রতিপাদ্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন ভূঞা, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আতিকুজ্জামান, ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. সিদ্দিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিকৃবি শাখার সভাপতি আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এমাদুল হোসেন। এ সময় বক্তারা পাঠ্যবই পড়ার পাশাপাশি ই-লার্নিংয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ দিকে অনুষ্ঠানের আয়োজক বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক সুবীর কুমার পাল জানান, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত হয়েছে। আমি চাই আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা শিক্ষার্থী লাইব্রেরিতে এসে বই পড়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করবে। আমি মনে করি, পড়িলে বই আলোকিত হয়, না পড়লে বই অন্ধকারে রয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আতিকুজ্জামান, ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক সমিতি, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ