ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাবি ছাত্রলীগ সম্পাদকের পদত্যাগের দাবিতে গণস্বাক্ষর

প্রকাশনার সময়: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০২

চাঁদাবাজি, জমি দখল ও মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের মতো নানা অভিযোগ তুলে এবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের পদত্যাগ দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ চত্বরের পাশে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আর্ট গ্যালারির সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। কর্মসূচি চলবে আগামীকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাহিদুজ্জামান শাকিল বলেন,‘আমরা মনে করি লিটন তার জুলুম, নিপীড়ন, স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে দায়িত্বের অবহেলা করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে কলঙ্কিত করেছেন। আমরা এমন কলঙ্কিত নেতা ক্যাম্পাসে চাই না। আমাদের এক দফা এক দাবি লিটনের পদত্যাগ চাই।'

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেনিন মাহবুব, সহ-সভাপতি সাজ্জাদ শোয়েব চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক চিন্ময় সরকার, অর্থ সম্পাদক তৌহিদুল আলম তাকিদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরাফাতুল ইসলাম বিজয়সহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।

এর আগে ২৩ জানুয়ারি সংগঠনের কর্মীদের খোঁজ-খবর না রাখা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় জমি দখল, নেতাকর্মীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, কর্মীসভা করেও দীর্ঘদিন ধরে হল কমিটি না দেয়া, নিজ হলকেন্দ্রিক চিন্তা-ভাবনা, নেতাকর্মীরা দেখা করতে চাইলে ব্যস্ততার অজুহাত দেখানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের ছয়টি হলের নেতাকর্মীরা। পরে গত ২৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সুষ্ঠু তদন্তের লক্ষ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটিকে পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আকতারুজ্জামান সোহেলকে সভাপতি এবং ৪৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান লিটনকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের ১ বছর মেয়াদী আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, এই ঘোষণার তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নিয়ম থাকলেও ১১ মাস পর ৩৯০ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। গত বছরের ৩ জানুয়ারি এই কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নতুন কমিটি হয়নি। বর্তমানে কমিটির সহ-সভাপতি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ প্রায় ১৫০ জনেরই ছাত্রত্ব নেই বলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ