নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ক্যাম্পাস থেকে শহরে আসার পথে অপহরণের শিকার নাজমুল ইসলাম (২০) নামের এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। একইসঙ্গে পরিবারের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৮টার পর ক্যাম্পাস থেকে শহরে আসার পথে অপহরণের ঘটনা ঘটে বলে দাবি ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের।
বৃহস্পতিবার (১ ফ্রেবুয়ারি) দুপুর ১২টায় নাজমুলকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান রিমন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, অপহরণের শিকার নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় উদ্ধার করা হয়েছে। সায়েদাবাদ কুর্মিটোলা স্কুলের সামনে থেকে নাজমুলকে তার মামা উদ্ধার করেন। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে বলে জানিয়েছে এ শিক্ষার্থীর পরিবার।
অপহৃত নাজমুল ইসলাম ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ইনফরমেশন কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিই) বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র এবং চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বাসিন্দা আবুল ফারাহের ছেলে। তার বাবা পেশায় একজন অটোরিকশা চালক।
ভুক্তভোগীর বাবা আবুল ফারাহ জানান, সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ছেলের সঙ্গে তার মায়ের কথা হয়। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বুধবার বিকেল ৪টার দিকে ছেলের মোবাইল থেকে মায়ের ফোনে একটি কল আসে। ফোন রিসিভ করতেই অচেনা এক ব্যক্তি তাকে হোয়াটসঅ্যাপ চালু করতে বলেন। সেখানে খুদে বার্তা পাঠিয়ে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
টাকা না দিলে ছেলেকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করে তিনি আরও জানান, এসময় তাকে বেঁধে রাখার কয়েকটি ছবিও হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়। এরপর তারা (মা-বাবা) ছেলের ক্ষতি না করার জন্য অনুরোধ করেন এবং ধারদেনা করে দুই দফায় ছেলের বিকাশ নম্বরে ১৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ পাঠান।
আবুল ফারাহ আরও জানান, গতকাল বুধবার বিকেলে প্রথমে কচুয়া থানায় যান তিনি। পরে পুলিশের পরামর্শে তিনি নোয়াখালীর সুধারাম থানায় যান। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ঘটনার বিস্তারিত জানানোর পর তারা ছেলের ফোন নম্বরের সূত্র ধরে জানান, ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় রয়েছে। পরে মোহাম্মদপুরে ছেলের বন্ধু কারা থাকেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য থানা থেকে তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়।
এবিষয়ে সুধারাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক বলেন, ওই শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জনের কাছে ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছেন। এ কারণে নানা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তবে এ ঘটনায় থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেনি নাজমুলের পরিবার। ঘটনাটি অপহরণ কি না, সে বিষয়ে তারা খতিয়ে দেখছেন।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ