ঢাকা, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

প্রকাশনার সময়: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৯

বাঙালির সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে নানান নকশাঁর পিঠা-পুলি। শীতের আমেজই মনে করিয়ে দেয় পিঠা-পুলি, পায়েস কিংবা নাড়ুর কথা। আধুনিকযুগে বাঙালি নারীদের হাতে তৈরি সু-স্বাদু পিঠার কথা প্রায় ভুলেই গেছে অনেকে। এখন শহরে নারীরা হাতে তৈরির বদলে সাচ দিয়ে পিঠা তৈরি করে থাকেন। যেখানে হাতের শিল্পের ছোঁয়া থাকে না পিঠাতে।

তাই বাঙালির এই পিঠা উৎসবের সংস্কৃতি ধরে রাখতে গুরুদয়াল সরকারি কলেজে বর্ণাঢ্য পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসের কৃষ্ণচূড়া চত্বরজুড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ পিঠা উৎসব।

কলেজ শিক্ষক পরিষদ এ উৎসবের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে হরেক রকমের পিঠার পসরা নিয়ে বিভিন্ন স্টল সাজান কলেজের শিক্ষার্থীরা।

পিঠা উৎসবে কলেজের বিভিন্ন বিভাগ থেকে মোট ৩০টি স্টল ও তিনশো প্রকারের পিঠা নিয়ে অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা। চারদিকে উৎসবমুখর পরিবেশ, স্টলে-স্টলে পিঠার মনোমুগ্ধকর প্রদর্শন। নানা নামের ও নানা রংয়ের মুখরোচক পিঠা স্থান পায় স্টলগুলোতে।

বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুশতাকুর রহমান। পরে তিনি স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। এরপরে পিঠা উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুশতাকুর রহমান বলেন, পিঠা উৎসব বাঙালিদের হাজার বছরের সংস্কৃতির সাথে মিশে আছে। প্রতিবছরের মতো এবারও গুরুদয়াল সরকারি কলেজ এ গ্রামের পিঠা-পুলির আমেজকে ফুটিয়ে তুলতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে। এই উৎসবের কারণে আমরা আমাদের গ্রামের সেই পিঠা-পুলির ঘ্রাণ নিতে পারছি, স্বাদ নিতে পারছি।

তিনি আরও বলেন, এ উৎসবে বিলুপ্তি হওয়া পিঠাসহ নতুন নতুন পিঠা নিয়ে স্টল সাজানো হয়েছে। তরুণসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ পিঠা খেতে এসেছেন। আমাদের এই উৎসবে যারা এসেছেন তাদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রতিবছরই এমন বর্ণাঢ্য আয়োজন হবে।

পিঠা উৎসব উপভোগ করতে আসা শিক্ষার্থী লিজা খন্দকার বলেন, বিদেশি অনেক খাবার আমাদের দেশে জায়গা করে নিয়েছে। যার ফলে মায়েদের হাতের অনেক পিঠা বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। প্রতিবছর পিঠা উসবের আয়োজন করা হলে নতুন প্রজন্ম দেশি পিঠায় পরিচিত হতে পারবে।

অপর এক শিক্ষার্থী জহির বলেন,পিঠা শুধু খাবার নয়, এর সাথে জড়িয়ে আছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ুক সবার প্রাণে।

উৎসবে শিক্ষার্থীদের তৈরি স্টলগুলো ছিল নানা বৈচিত্রের পিঠার সমারোহ। এছাড়াও উৎসবে পিঠা নিয়ে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরে অতিথিরা পিঠা উৎসবের বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

নয়াশতাব্দী/ডিএ/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ