দ্বিতীয়বারের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দুই দিনব্যাপী ‘আনর্ত’ নাট্যমেলা শুরু হবে আগামী সোমবার ২৯ জানুয়ারি। মেলা চলবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। এবারের মেলায় ৭টি নাটক মঞ্চায়িত হবে।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনে মেলা প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আনর্ত পত্রিকার সম্পাদক ও নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক আতাউর রহমান রাজু।

এ মেলার উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।

এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মলয় ভৌমিক এবং সালাউদ্দিন লাভলু প্রমুখ। এ ছাড়া এই মেলায় তিন শতাধিক দেশি ও বিদেশি অতিথি উপস্থিত থাকবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আনর্ত পত্রিকার সম্পাদক রহমান রাজু বলেন, ২০১৯ সালের ৪ ও ৫ মার্চের আনর্ত মেলার মাধ্যমে আমাদের মেলার প্রথম যাত্রা শুরু হয়েছিল। এবারের মেলায় ৭টি নাটক মঞ্চায়িত করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে যাত্রা, পালা এবং মঞ্চ নাটক। এবার ভারত থেকে নাটকের দল আসবে। তারাও তাদের নাটকগুলো মঞ্চায়িত করবে।

তিনি বলেন, এবারের মেলায় আনর্ত স্বীকৃতিতে (পুরস্কার) মনোনীত হয়েছেন যাত্রা শিল্পে জ্যোৎস্না বিশ্বাস। তিনি যাত্রা সম্রাট অমলেন্দু বিশ্বাসের স্ত্রী এবং চলচ্চিত্র নায়িকা অরুণা বিশ্বাসের মা। তিনি ২ হাজারের বেশি যাত্রায় সরাসরি অভিনয় করেছেন।

থিয়েটারের নেপথ্য শাখায় মনোনীত হয়েছেন বাবুল বিশ্বাস। তিনি বাংলাদেশ থিয়েটার আর্কাইভস এর কর্তা। নেপথ্যে থেকে তিনি বাংলাদেশের থিয়েটার সংশ্লিষ্ট সকল ডকুমেন্টস সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিশ্ব দরবারে পরিচিতির কাজটি করে চেলেছেন।

এ ছাড়াও মনোনীত হয়েছেন রাজশাহীর থিয়েটারের একমাত্র আলোর মানুষ (লাইট ম্যান) আবু তাহের। তিনি ২ হাজারের বেশি নাটক ও যাত্রায় লাইটিং করেছেন। তিনি তার নিজের জীবন ও সংসারকে উজাড় করে দিয়ে এই আলোর কাজ করেছেন।

আনর্ত মেলায় মঞ্চনাটক; 'পারো', 'ওয়ান ফ্রাইডে মর্নিং', 'কহে ফেসবুক', 'মূল্য-অমূল্য' এবং পথনাটক হিসেবে থাকছে 'সুনাগরিকের সন্ধানে' ও 'বহমান'। এ ছাড়া পালানাটক 'কালিন্দীর গীত' মঞ্চায়িত হবে এই আনর্ত মেলায়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আরিফ হায়দার, নাট্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কৌশিক সরকার প্রমুখ।

নয়া শতাব্দী/এসআর