সুনামগঞ্জে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার বুয়েট শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক পরিচয়ধারী সাবেকদের সাথে একত্রিত হয়েছিলেন। বুয়েটের তদন্ত কমিটি বলছে, তাদের জেরায় এমন স্বীকারোক্তি মিলেছে। টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে যেয়ে পুলিশের হাতে আটক হন বুয়েটের ২৪ শিক্ষার্থীসহ ৩৪ জন। যাদের ৭ জন আবার এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই সাবেক শিক্ষার্থী।
গত বছরের ৩০ জুলাইয়ের এই ঘটনায় পুলিশ বলেছিল, আটক সবাই শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত। যারা ঘুরতে আসার নামে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা পর আগস্টের প্রথম সপ্তাহে হয় জামিন। তবে এখনও ঝুলছে মামলার খড়গ।
আসামীপক্ষের আইনজীবী তৈয়বুর রহমান বাবুল বলেন, এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোনো পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করেননি। ফলে এই শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। তারিখ অনুযায়ী ঢাকা থেকে সেসব শিক্ষার্থীদের আদালতে আসতে হচ্ছে। দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়া সেই ঘটনায় এখনও দেয়া হয়নি অভিযোগপত্র।
পুলিশ বলছে, অপেক্ষা এখন ফরেনসিক রিপোর্টের। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাশ বলেন, ৩৪টি মোবাইল আমরা দিয়েছি। ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়া এবং তদন্ত কার্যক্রম শেষ হওয়া মাত্রই আমরা চার্জশিট দাখিল করবো।
রাজনীতি নিষিদ্ধ যেই ক্যাম্পাসে, সেখানকার শিক্ষার্থী হয়েও কি তারা লুকিয়ে রাজনৈতিক সংস্পর্শেই ছিলেন? কেনই বা হলেন গ্রেপ্তার, এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বুয়েট শুরু করে তদারকি। তদন্ত কমিটি বলছে, আলাদা আলাদা যেয়ে শিক্ষার্থীরা যে সাবেকদের সাথে একত্রিত হয়েছেন, তারা রাজনৈতিক পরিচয়ধারীই ছিলেন।
বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক ড. মিজানুর রহমান বলেন, জানা গেছে পুরোনো শিক্ষার্থীরা বিশেষ রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। বুয়েটের পুরাতন কিছু শিক্ষার্থী এবং বর্তমান কিছু শিক্ষার্থীরা আলাদাভাবে গিয়ে সেখানে একত্রিত হয়েছিল।
নয়া শতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ