রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন শেষ হয়েছে। প্রাথমিক আবেদনের সময় শেষে তিনটি ইউনিটে মোট আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্লা।
গত ৮ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে এই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। একজন শিক্ষার্থী একাধিক ইউনিটে আবেদন করতে পারেন। এ হিসেবে একক আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৯৪ হাজার ৫৬৬ জন।
আইসিটি সেন্টারের পরিচালক বলেন, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত তিনটি ইউনিটে মোট আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০টি। এর মধ্যে ‘এ’ (মানবিক) ইউনিটে ১ লাখ ৩০ হাজার, ‘বি’ (বাণিজ্য) ইউনিটে ৮৮ হাজার ৩০০ এবং ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিটে ১ লাখ ৩৮ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। একজন শিক্ষার্থী একাধিক ইউনিটে আবেদন করতে পারেন। এ হিসেবে একক আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৯৪ হাজার ৫৬৬ জন। তবে এ সংখ্যা কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। কিছু আবেদনকারীর পেমেন্ট এখনো সম্পন্ন হয়নি।
প্রাথমিক আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে ২৬ জানুয়ারি থেকে চূড়ান্ত আবেদন শুরু হবে। মোট চার দফায় এ আবেদন সম্পন্ন হবে। প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতি ইউনিটে সর্বোচ্চ ৭২ হাজারসহ বিভিন্ন কোটার আবেদনকারী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
মোট চারটি ধাপে চূড়ান্ত আবেদন হবে। প্রথম ধাপে মনোনীত শিক্ষার্থীরা আগামী ২৬ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন। প্রথম দফা আবেদন পূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে দ্বিতীয় দফায় ১ থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি, তৃতীয় দফা ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি এবং চতুর্থ দফা ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন ভতিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
এবার তিন ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৫ মার্চ ‘সি’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। এরপর ৬ মার্চ ‘এ’ ইউনিট (মানবিক) ও ৭ মার্চ ‘বি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষা সকাল ৯টা থেকে ১০টা, বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা, বেলা ১টা থেকে ২টা এবং বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মোট চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে।
এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের এক ঘণ্টাব্যাপী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় প্রতি ইউনিটে ৮০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতি চারটি ভুলের জন্য এক নম্বর কাটা যাবে। ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৪০।
২০২২ ও ২০২৩ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা তিন ইউনিটেই যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী যে ইউনিটেই আবেদন করুক না কেনো সে যে শাখা থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে সেই শাখার জন্য নির্ধারিত যোগ্যতা তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
২০২২ ও ২০২৩ সালের এইচএসসি বা সমমান, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বিএফএ, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের আওতায় এইচএসসি ভোকেশনাল, এ লেভেল ও অন্যান্য সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নির্ধারিত যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ