শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

বাকৃবিতে প্রশাসনিকসহ ৩ ভবনে তালা 

প্রকাশনার সময়: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৪

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মাঝেমধ্যেই সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। আজও দুটি সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। পরে এসব সাইকেল চুরির সমাধান পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসহ তিন ভবনে তালা লাগিয়ে দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, লাইব্রেরি এবং নিরাপত্তা শাখায় তালা ঝুলায় শিক্ষার্থীরা।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দেয়। পরবর্তীতে যেসব শিক্ষার্থীদের সাইকেল হারিয়েছে তারাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্ট, প্রক্টর, ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানা পুলিশ এবং ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনায় বসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েক মাসে প্রায় ২০টির মতো সাইকেল হারিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ করিডোর, ভেটেরিনারি অনুষদ ও পশুপালন অনুষদের সাইকেল স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এ সকল সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। মাঝেমধ্যেই সাইকেল চুরির এরকম ঘটনা ঘটলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ সিসি ক্যামেরা অচল অবস্থায় রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম বলেন, আজকে ২টি সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটার অভিযোগ করে শিক্ষার্থীরা ভবনগুলোতে তালা দেয়। পরে আমরা কোতোয়ালী থানা পুলিশসহ আলোচনায় বসি। এ সময় গত কয়েক মাসে ২০ জন শিক্ষার্থীর সাইকেল চুরি হওয়ায় লিখিত অভিযোগ করেন। থানা পুলিশকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সাইকেল উদ্ধারের চেষ্টা করছে বলে আমাদের জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীদের তাদের কর্মকাণ্ড ঠিকমতো পালনের বেশকিছু গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সাইকেল স্ট্যান্ডগুলোতে টোকেন সার্ভিস চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, গত দুই মাসে প্রায় ২০টির মতো সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। একজন গরিব শিক্ষার্থীর জন্য এটি অপূরণীয় ক্ষতি। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আমাদের শিক্ষার্থী ভাইয়েরা অনেক কষ্ট করে এসব সাইকেল কিনে পড়াশোনা ও টিউশনের কাজে ব্যবহার করে থাকে। আমরা এর আগেও উপাচার্য স্যারকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম, যেন ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের সাইকেল উদ্ধারের ব্যবস্থা করে। সম্ভব হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিনে দেওয়া ব্যবস্থা করতে। একই সাথে ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে, সেজন্যে সিসিটিভির আওতা বাড়ানো, নিরাপত্তা জোরদার এবং টোকেন ও রেজিস্ট্রার খাতার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ