চাঁদাবাজি ও শ্লীলতাহানির মামলায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক কর্মীকে গ্রেফতার করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানা পুলিশ।
বন্দর থানার ওসি মুকুল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ১৬ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল নগরীর নাজেমস হোটেল থেকে মঞ্জুকে নগদ অর্থ, স্বর্ণের চেইন, ২টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া, মারামারিসহ একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ওই শিক্ষার্থীর নাম তাহমিদ মঞ্জু। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের একজন কর্মী। তিনি বর্তমান সিটি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত সাড়ে আটটায় বন্দর থানাধীন ৭নম্বর চরকাউয়া ইউনিয়ন, ৫নম্বর ওয়ার্ডে গ্রেফতারকৃত মঞ্জুর সাথে ছিলেন শরিফ, নাবিদ, নাহিদ, সিহাবসহ ১০/১২ জন। তারা এসে বাদী ডালিয়া বেগমের ঘরে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এছাড়াও তাদের এলোপাথারি মারপিট করে ঘরের আলমারি ভেঙে নগদ বাইশ হাজার টাকা, তার মেয়ের বিয়ের জন্য বানিয়ে রাখা স্বর্ণের ১.৫ ভরি ওজনের এক জোড়া রুলি, যার মূল্য দেড় লাখ টাকা, এক ভরি ওজনের গলার স্বর্ণের চেইন ২টি, যার মূল্য-এক লাখ টাকা এবং তাদের ছেলের এয়ারটেল কোম্পানিতে চাকরির জন্য কোম্পানি কর্তৃক প্রদানকৃত ফোন নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ওই বিবাদীরা লাঠিসোঁটা, দা-বটি, কুড়াল, চাপাটি দিয়ে সুকেজ, বসতঘরের বেড়া, দরজা,-জানালা ভেঙে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার ক্ষতি করে। বাদী ডালিয়ার স্বামী বাধা দিলে তাকে ও বাদীকে কিল ঘুশি মেরে জখম করে। বাদী ডালিয়ার (৩৬) পরনের কাপড়-চোপড় টেনে শ্লীলতাহানি করে। এক পর্যায়ে তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে বিবাদীরা তাদের খুন জখমের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
প্রসঙ্গত, তাহমিদ মঞ্জু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বর্তমান সিটি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারী। মঞ্জু এরআগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দোকানদারকে মারধর ও সাধারণ শিক্ষার্থীর উপর নির্যাতন করে হাত ভেঙ্গে দেওয়াসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার নামে বর্তমানে পাঁচটি মামলা রয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ