জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কর্মকর্তা সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী প্যানেল থেকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কে হবেন, তা নিয়ে আওয়ামীপন্থীদের মধ্যে বিভক্ত তৈরি হয়েছে।
অংশগ্রহণ করা একাধিক আওয়ামীপন্থী প্রার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন ও শারিরীক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম মিয়ার একগুঁয়েমি এর কারণে আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তাদের একক প্যানেলে সমন্বয় করা যায়নি। নির্বাচনে তারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে অনড় থাকার ব্যাপারে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সিনিয়র আওয়ামী শিক্ষক কর্মকর্তাদের।
জানা যায়, এতে একপর্যায়ে হতাশা প্রকাশ করে নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের সমন্বয়ের পথ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা।
গত নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী প্যানেলে যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. নুর-এ-কামাল। তবে সমন্বয়হীনতার কারণে এবারের নির্বাচনে তাকে প্যানেলে রাখা হয়নি বলে অভিযোগ তার।
তিনি বলেন, প্যানেল সমন্বয়ের ব্যাপারে আমরা উপাচার্য স্যারের সাথে কথা বলেছিলাম। কিন্তু আজিম-সেলিম প্যানেল সমন্বয় করতে নারাজ। তারা পদে অনড় থেকেই নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে জানান। একপর্যায়ে উপচার্য স্যার অনেকটা হতাশ হয়ে আমাদের নিজেদেরকেই সমন্বয় করতে বলেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামীপন্থী প্যানেল থেকে সভাপতি পদে নির্বাচন করা মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন বলেন, কর্মকর্তাদের নির্বাচন সবার জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ চাইলেই এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। তবে তারা যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা। প্যানেলে সমন্বয় করার ব্যাপারে আমরা পূর্বে একটি মিটিং ডেকেছিলাম, কিন্তু সে মিটিংয়ে তারা অনুপস্থিত ছিল। এমনকি তারা বলেছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। ফলে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় আমরা নিজেরাই একটা প্যানেল ঘোষণা করেছি। এখন তারা যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় তাহলে তারাও একটা প্যানেল ঘোষণা করুক।
প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ জানুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির নির্বাচন (২০২৪-২৫) অনুষ্ঠিত হবে৷ আজ ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। এরমধ্যে নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপিপন্থী কর্মকর্তাদের প্যানেলে ঐক্য দেখা গেলেও বিভক্ত তৈরি হয়েছে আওয়ামীপন্থীদের প্যানেলে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ